মুম্বই: মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল (Governor) ভগৎ সিং কোশিয়ারি ইস্তফা (Resign) দিতে চলেছেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) নরেন্দ্র মোদি মহারাষ্ট্র সফরে এলে তাঁর কাছে কোশিয়ারি ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। সোমবার রাজ্যপাল নিজেই এ কথা জানান। তিনি বলেন, এতদিন ধরে মহারাষ্ট্রের মতো বড় একটি রাজ্যের রাজ্যপাল হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি আপ্লুত। গত তিন বছর ধরে রাজ্যের মানুষের কাছ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছি, তাতে আমি মহারাষ্ট্রবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ।
কোশিয়ারি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে আমি ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েছি। আমি সমস্ত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকেও অবসর নিতে চাই। তারপর শুধু লেখাপড়া নিয়ে থাকতে চাই।
বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) মতো মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল কোশিয়াড়ির কার্যকালও বহু বিতর্কিত। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ (Devendra Fadnavis) এবং এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারকে (Ajit Pawar) কাকভোরে শপথ নেওয়ানো থেকে শুরু কোশিয়ারির রাজ্যপালের ইনিংস। মহারাষ্ট্রে মহা বিকাশ আঘাড়ি বা শিবসেনা (Shiv Sena), এনসিপি (NCP) এবং কংগ্রেসের (Congress) জোট সরকার তখন থেকেই সংকটের মুখে পড়ে। রাজ্যপাল স্বয়ং সরকার ভাঙার খেলায় মেতেছেন বলে জোট নেতারা অভিযোগ করেন। তবে সেই সরকার একদিনের বেশি টেঁকেনি।
আরও পড়ুন: Netaji Birth Anniversary: নেতাজি সম্পর্কে ৬ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যা জানলে আপনি বিস্মিত হবেন
আবার উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে যখন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে সরকার ভাঙার উদ্যোগ নেন, তখন নতুন সরকার গড়ার পিছনে রাজ্যপালের হাত থাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল এমভিএ।
শুধু তাই নয়, গত বছরের নভেম্বর মাসে ছত্রপতি শিবাজিকে নিয়েও কোশিয়ারির মন্তব্য নিয়ে নানা বিতর্ক হয়। তাতে মারাঠি অস্মিতাতে আঘাত লাগে। তিনি বলেছিলেন, জওহরলাল নেহরু, সুভাষচন্দ্র এবং মহাত্মা গান্ধী আমার কাছে বড় আইকন। তাঁর মন্তব্য ছিল, শিবাজি অনেক পুরনো হয়ে গিয়েছেন। মহারাষ্ট্রে বি আর আম্বেদকর, নীতিন গড়করির মতো ব্যক্তি রয়েছেন। এই ইস্যুতে উদ্ধব ঠাকরের মতো একাধিক নেতা কোশিয়ারির ইস্তফা দাবি করেছিলেন।