নয়াদিল্লি: রামমন্দিরের উদ্বোধনের পরপরই ইন্ডিয়া জোটের নির্মীয়মাণ অংশ ভেঙে পড়ায় ফের তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বিহারে জেডিইউ-আরজেডি-কংগ্রেসের মহাগাঁটবন্ধনের গিঁট ছিঁড়ে যাওয়ার পরদিনই সোমবার ইডি দফতরে হাজিরা দিতে যান ‘গরিবোঁ কা মসিহা’ লালুপ্রসাদ যাদব। জমির বদলে চাকরি মামলায় ইডি তলব করেছিল তাঁকে।
অন্যদিকে, ৯ বার ইডির সমনে হাজিরা এড়ানো ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা ‘সাবেক’ ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক হেমন্ত সোরেনের দিল্লির বাসভবনে পৌঁছে যায় তদন্তকারী সংস্থা। জমি কেলেঙ্কারিতে তিনি ২৯ অথবা ৩১ জানুয়ারি হাজিরা দিতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত করতে সরাসরি সোরেনের দিল্লির বাড়িতে যান ইডি আধিকারিকরা। তাঁদের সঙ্গে ছিল দিল্লি পুলিশের বিশাল বাহিনীও।
আরও পড়ুন: ৭ দিনে লাগু হবে সিএএ, দাবি শান্তনু ঠাকুরের
পাটনায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব এবং মামলায় সহ অভিযুক্ত তাঁর কন্যা মিসা ভারতী এদিন সকালে ইডি দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পৌঁছে যান। তার আগে আরজেডির কর্মী-সমর্থকরা ইডি অফিসের বাইরে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। লালু-পত্নী তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীর হাতে সমন পৌঁছে দিয়ে অভিযুক্তদের আজ অথবা ৩০ জানুয়ারির মধ্যে হাজিরার কথা জানানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত শনিবার দিল্লির একটি আদালত রাবড়ি দেবী এবং কন্যা হেমা যাদবকে ৯ ফেব্রুয়ারি হাজিরার সমন জারি করেছে। একই মামলায় লালুপ্রসাদ যাদব, রাবড়ি দেবী এবং মিসা সিবিআইয়ের একটি মামলাতেও অভিযুক্ত। আরজেডি এই সমনকে ইডির না বলে বিজেপির তলব বলে অভিযুক্ত করেছে। উল্টোদিকে বিহারের নবনিযুক্ত উপমুখ্যমন্ত্রী, বিজেপি নেতা সম্রাট চৌধুরী বলেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূরি ভূরি দুর্নীতিতে জড়িত।
অন্য খবর দেখুন