বীরভূম: বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের (Satabdi Roy) বক্তব্য, তিনি অনুব্রতকে (Anubrata Mandal) মিস করছেন না। এদিন বীরভূমের (Birbhum) বোলপুরে তৃণমলের দলীয় কার্যালয়ে জেলার কোর কমিটির বৈঠক ছিল। ওই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শতাব্দী রায় বলেন, “অনুব্রত মণ্ডলকে মিস করছি না।” পাশাপাশি এদিন বগটুই কাণ্ডের (Bogtui Case) নিহতদের পরিবারকে তিনি সুবিধাবাদী বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যাঁরা সরকারিভাবে সবরকম সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে, জমি নিয়েছে, চাকরি নিয়েছে, মেয়ের জীবন সুন্দর করে সাজিয়ে তুলেছে, তা সত্বেও সেই সমস্ত মানুষগুলো যদি বিরোধিতা করে, তাহলে আর কিছু বলার নেই।” পাশাপাশি শতাব্দী রায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি আরও বলেন, তাঁদের যা যোগ্যতা, তাতে তাঁদেরকে নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই।”
বর্তমানে অনুব্রত একাধিক মামলায় জেল বন্দি।বীরভূমের একসময়কার দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা এখন তিহার জেলে রয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। যে দলীয় কার্যালয়ে বসে অনুব্রত মণ্ডল একসময় বীরভূম পরিচালনা করতেন, সেই দলীয় কার্যালয়ে এসে শতাব্দী রায় এই মন্তব্য করলেন।
আরও পড়ুন: Tapas Roy | বদমাইশগুলো নিজের মাটি শক্ত করার জন্য আমাদের দলে ঢুকে পড়েছে, বিস্ফোরক তাপস রায়
উল্লখ্য, গত বছরের অগস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) বীরভূমের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গ্রেফতারের পর তিনি আসানসোল সংশোধনাগারে ছিলেন। তদন্তে তাঁর নামে ও বেনামে বহু সম্পত্তির খোঁজ মেলে। এরপর তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার আবেদন জানায় ইডি। সেই সময় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তারই পাল্টা হিসাবে দিল্লিযাত্রা ঠেকাতে দিল্লি হাই কোর্টে জামিনের আবেদন জানান অনুব্রত মণ্ডল। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। দিল্লিতে ইডি হেফাজত শেষে আপাতত তিহার জেলই কেষ্টর ঠিকানা। তিহার জেলে যাওয়ার আগে অনুব্রত জামিনের জন্য দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন।এর আগেও দিল্লি হাইকোর্টে ওই মামলার শুনানি একবার পিছিয়ে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে আবারও পিছিয়ে গেল অনুব্রতর জামিন মামলার শুনানি।