শীতকালে মুলো খাওয়ার একাধিক উপকারিতা রয়েছে। মুলোর এত রকম পদ হয় এবং সবগুলোই এত সুস্বাদু যে যাঁরা স্যালাড থেকে কাঁচা মুলো তুলে সরিয়ে রাখেন তাঁদেরও জিভে জল আসে। আর শুধু স্বাদেই নয় মুলো খাওয়ার উপকারিতাও রয়েছে অনেক। তবে এই মুলো খাওয়ার কিছু অপকারিতাও রয়েছে। মুলো খাওয়া কাদের উচিত নয় জানুন-
থাইরয়েড (Thyroid)
মুলোয় এক ধরণের উপাদান রয়েছে যার নাম গোইট্রোজন। যাঁরা থাইরয়েডের সমস্যায় ভোগেন তাঁদের জন্য এটা ক্ষতিকারক। তাই থাইকয়েডের সমস্যা যাঁদের তাঁরা মুলো ভুলেও খাবেন না। শরীরে থাইরয়েড হরমোন তৈরির প্রক্রিয়ায় বাধা দেয় মুলো।
ব্লাড সুগার (Blood Sugar)
যাঁদের রক্ত শর্করার মাত্রা সাধারণত কম থাকে তাঁদের মুলো খাওয়া উচিত নয়। মুলো খেলে হাইপোগ্লাইসিমিয়ার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।
হাইপারটেনশবম (Hypertension)
মুলো খেলে ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায় তাই যাঁদের এই সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে তাঁদের মুলো খাওয়া উচিত নয়।
আরও পড়ুন: মুলো খেলে কিডনি ভাল থাকে জানেন কি?
আয়রন (Iron)
যাঁদের শরীরে আয়রনের মাত্রা বেশি তাঁরা মুলো খেলে অসুস্থ বোধ করতে পারেন। যেমন পেট ব্যথা, বমি, পেট খারাপের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গর্ভবতী অবস্থায় (during pregnancy)
গর্ভবতী মহিলারা ভুলেও মুলো খাবেন না। কাঁচা বা রান্না করা কোনও ভাবেই মুলো খাওয়া চলবে না। এটা খেলে প্রেগনেন্সির সময় জটিলতা তৈরি হতে পারে।
গলস্টোনস রয়েছে (Galstones )
যাদের গল স্টোনের সমস্যা আছে তঁদর মুলো খাওয়া উচিত নয়। মুলো খেলে বাইল সিক্রিয়েশন বা পাচকরশের নিঃসরণ বেড়ে যায়। এদিকে গলস্টোনের কারণে পিত্তথলি (bile duct) আটকে যায় এর ফলে পেটে আচমকা তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয়ে যায়।
এই সবের পাশাপাশি শীতকালে বেশী মুলো খেলে ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যা হতে পারে। মাত্রাতিরিক্ত মুলো শরীরের থেকে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি জল বার করে দেয়।