চেহারায় কোনও দুশ্চিন্তার ছাপ নেই। বরং জেলের, সেলে ঢুকেই নিশ্চিন্তে ঘুম। একদম স্বাভাবিক দেখিয়েছে তাঁকে। আফতাব পুনাওয়ালা (Aftab Poonawala)। শিরদাঁডায় ঠান্ডা স্রোত বইয়ে দেওয়া শ্রদ্ধা ওয়ালকার (Shradha Walkar) খুনের মামলার অন্যতম মূল অভিযুক্ত আফতাবের এহেন আচরণে হতবাক তিহার জেলের কর্মচারীরা। জেল সূত্রের খবর সেই আফতাবেরই প্রথম রাত কাটল দিব্যি আরামে।
শুক্রবার দিল্লির সাকেত কোর্ট তাঁর ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল কমিশনার (আইন শৃঙ্খলা) সাগরপ্রীত হুডা জানিয়েছিলেন, প্রাথমিকভাবে আফতাবের পলিগ্রাফ পরীক্ষা সফল হয়নি। তাই ফের তার পলিগ্রাফ পরীক্ষার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার থেকে আফতাবের পলিগ্রাফ পরীক্ষা (Polygraph Test) শুরু হয়। শুক্রবার তাঁকে আবারও পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। কিন্তু তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা মনে করছেন, পলিগ্রাফ পরীক্ষার জন্য যথেষ্ট তৈরি ছিল আফতাব পুনাওয়ালা ।
তিহার জেল ( Tihar Jail) সূত্রের খবর, আফতাবকে সেলে ঢোকানোর পর সেখানেই ছিলেন একাধিক জেলকর্মী। তাঁরা নজর রাখছিলেন। পাশাপাশি সিসিটিভিও (CCTV) চলছিল। তখন তাকে দেখে বোঝাই যাচ্ছিল না নিজের লিভ-ইন সঙ্গীকে ৩৫ টুকরো করে কেটে ফেলার ঘটনায় একমাত্র অভিযুক্ত তিনি! জেল ৪-এ নম্বর সেলে ঢোকানোর পর কিছুক্ষণ বসেছিল আফতাব। তার পর শুয়ে পড়ে। আর শুয়েই ঘুম।
কিছুদিন থানার লক আপে কাটানোর পর নতুন ঘরে এসে যেন আরামে ঘুম দেয় আফতাব। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরও তাঁর মধ্যে কোনও হেলদোল দেখা যায়নি। জেলকর্মীরা কিছু জিজ্ঞেস করলেই উত্তরও দিয়েছে স্বাভাবিক ভাবে। যা দেখেশুনে খানিকটা অবাক জেলের কর্মীরাও।
সোমবারই সম্ভবত আফতাবের নার্কো অ্যানালিসিস টেস্ট করার কথা। শনিবার আফতাবকে তিহারে নিয়ে আসার আগে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হয়। সেই সময় এমন কিছু পরীক্ষাও করানো হয় যেগুলো নার্কো টেস্টের (Narco Test) জন্য প্রয়োজন। তা থেকেই মনে করা হচ্ছে, সোমবার আফতাবের নার্কো টেস্ট করাতে পারে পুলিশ।