ময়নাগুড়ি: ভোট দিলেন ঝড়ে বিধ্বস্ত ময়নাগুড়ির বার্নিশ পুঁঠিমারি গ্রামের বাসিন্দারা। গত ৩১ মার্চের বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল গোটা গ্রাম। এখন কোনওভাবে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে এই গ্রামের মানুষজন। এরই মধ্যে প্রত্যেকেই নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে শুক্রবার সকাল থেকেই ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছেন। গ্রামবাসীদের একটাই কথা মাথার উপরে ছাদ গিয়েছে, কিন্তু নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য ভোটদান করতেই হবে। নির্বাচনে কে জিতবে কে হারবে সেটা ফলাফল ঠিক করবে। তবে তাঁদের একটাই আর্জি, ঝড়ে বিধ্বস্ত এই গ্রামকে ঘুরে দাঁড়াতে যাতে সাংসদ সহযোগিতা করেন।
ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বাড়ি বানানোর জন্য টাকা পেয়েছেন তাঁরা। অনেকেই মাথা গোজার আস্তানা মেরামত করার কাজ শুরু করেছে। এখনও অনেকে সেই আতঙ্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। আকাশে কালো মেঘ দেখলে দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়ে যায় গ্রামবাসীদের। ভয়কে সঙ্গী করেই ভোটের লাইনে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামের বাসিন্দারা। বার্নিশ কালীবাড়ি এলাকার বাসিন্দা শম্পা রায়ের ঘূর্ণিঝড়ের সময় দুই পায়ে আঘাত লেগেছে। ছেলে রোহিত মাশায় আঘাত পেয়ে ১৪ দিন শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। এই মুহূর্তে শয্যাশায় শম্পা রায়। তারপরেও কোনওক্রমে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে ভোট দান করেছেন। প্রত্যেকের একটাই দাবি, তাদের গ্রামকে যাতে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা করে সরকার। গ্রামের হাল ফেরাতেই এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করল বার্নিশ সহ ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামের বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: ৭ ঘণ্টায় ৪৬৮টি অভিযোগ পেল নির্বাচন কমিশন