আধার কার্ড (Aadhaar Card) ও ভোটার আইডি কার্ড (Voter ID Card) লিঙ্কের সময়সীমা ফের বাড়াল কেন্দ্র। বর্তমানে ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে সব কাজে আধার কার্ডের লিঙ্ক বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে। ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করার (Voter ID-Aadhaar Linking) নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে কার্যকর করা হয় এই নিয়মটি। চলতি বছরের ৩১মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা ছিল। কেন্দ্রীয় সরকার (Central Goverment) মঙ্গলবার বড়সড় স্বস্তির খবর শুনিয়েছে।
কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সময়সীমা বাড়ানো হল এক বভহর। অর্থাৎ ২০২৪-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভোটার কার্ড এবং আধার কার্ড লিঙ্ক করার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। আধার-ভোটার কার্ড লিঙ্ক করার মূল উদ্দেশ্য, একের বেশি নির্বাচনী এলাকায় কোনও ব্যক্তির রেজিস্ট্রেশন আটকানো।
আরও পড়ুন:ChatGPT | কর্মক্ষেত্রে মানুষের জায়গা নেবে চ্যাটজিপিটি, ঝুঁকিতে হাজার হাজার পেশা
তবে এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, এই লিঙ্ক করার বিষয়টি কিন্তু বাধ্যতামূলক নয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে লোকসভায় নির্বাচনী আইন (সংশোধনী) বিল পাশ হয়। আর তারপরেই ভোটার আইডিগুলির সঙ্গে আধার লিঙ্ক করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। বাড়ি বসেই ভোটার আইডি-র সঙ্গে আধার কার্ডের লিঙ্ক করা যাবে। কীভাবে করবেন জেনে নিন-
১. ফোনের ব্রাউজার থেকে https://voterportal.eci.gov.in/ -এ যান।
২. মোবাইল নম্বর/ইমেল আইডি/ভোটার আইডি নম্বর ব্যবহার করে লগইন করুন এবং পাসওয়ার্ড দিন।
৩. রাজ্য, জেলা এবং ব্যক্তিগত বিবরণ যেমন নাম, জন্ম তারিখ এবং বাবার নাম উল্লেখ করুন।
৪. সব তথ্য দেওয়ার পর ‘সার্চ’-এ ক্লিক করুন। যদি আপনার দেওয়া সব তথ্য সরকারি ডেটাবেসের সঙ্গে মিলে যায়, তবে তা স্ক্রিনে দেখাবে।
৫. ‘ফিড আধার নং’ অপশনে ক্লিক করুন। এটি স্ক্রিনের বাঁ দিকে দেখা যাবে।
৬. একটি পপ-আপ পেজ আসবে। সেখানে আধার কার্ড, আধার নম্বর, ভোটার আইডি নম্বর, মোবাইল নম্বর এবং/অথবা রেজিস্টার্ড ইমেলে উল্লিখিত আপনার নাম দিতে হবে।
৭. সমস্ত বিবরণ সঠিকভাবে ভরার পরে, একবার ক্রস চেক করে নেবেন। এরপর ‘সাবমিট’-এ ক্লিক করুন।
৮. সব ঠিকঠাক থাকলে স্ক্রিনে দেখাবে আপনার আবেদন গৃহিত হয়েছে।
নির্বাচনী (সংশোধনী) আইন ২০২১ অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন (Election Commission) ভোটারদের আধার নম্বর (Aadhaar Number) সংগ্রহ করা শুরু করেছে। এর জন্য কমিশনের তরফে একটি অভিযানও শুরু করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ১২ ডিসেম্বর অবধি ৫৪.৩২ কোটি আধার নম্বর সংগ্রহ করেছে নির্বাচন কমিশন।