skip to content

skip to content
HomeদেশCAA-র নিয়মে নাগরিকত্ব পাবে না আফগানরা, যুক্তি দিলেন আসাদুদ্দিন

CAA-র নিয়মে নাগরিকত্ব পাবে না আফগানরা, যুক্তি দিলেন আসাদুদ্দিন

Follow Us :

হায়দরাবাদ: তালিবান দখলে যাওয়া আফগানিস্তান থেকে বহু মানুষ ভারতে চলে এসেছেন। তালিকায় ভারতীয়দের পাশাপাশি রয়েছেন বহু আফগান নাগরিক। শুরুতেই মুসলিম অধ্যুষিত আফগানিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল ভারত। কেন্দ্রের শাসকদলের একাধিক সাংসদ মন্ত্রী CAA-র অধীনে অমুসলিমদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার দাবিও করেছেন।

আরও পড়ুন- আফগান সেনার ফেলে যাওয়া সাঁজোয়া গাড়ি পাকিস্তানে রফতানি করছে তালিবান

যা নিয়ে সরব হয়েছেন হায়দরাবাদের সাংসদ তথা এআইএমআইএম(AIMIM) নেতা আসাউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি বলেছেন, “সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা CAA নথি হীন উদ্বাস্তদের জন্য প্রযোজ্য। যারা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে এসেছেন তারা ওই আইনের আওতায় ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকারী। যারা ভিসা নিয়ে ভারতে আসছে তাদের ওই আইনে কোন সুরাহা হবে না।”

আরও পড়ুন- তিনি কাউকে বিশ্বাস করেন না, তালিবান প্রসঙ্গে ‘অবিশ্বাসের সুর’ বাইডেনের গলায়

সরকার কেন নাগরিকত্ব নিয়ে সাহসী আইন প্রণয়ন করেনি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হায়দরাবাদের সাংসদ। সেই তাঁর আরও জিজ্ঞাসা, “ইচ্ছাকৃতভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই ওই নাগরিকত্ব আইনের বদল করা হয়েছিল?”

নয়া আইনে পড়শি রাষ্ট্রগুলির অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। যার বিরুদ্ধে শুরু হয় আন্দোলন। বিষয়টির বিরোঢিতা করেছিল আসাদুদ্দিনের পার্টি এআইএমআইএম(AIMIM)। আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেছেন, “আমরা এমন একটা ধর্মনিরপেক্ষ আইনের কথা বলেছিলাম যাতে সকল প্রকারের শরণার্থীদের সুবিধা হতো। এখন যা অবস্থা ফাগানিস্তানে ভারতের দূতাবাসগুলিতে কর্মরত ব্যক্তিরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবে না।” নাগরিকত্ব আইন নিয়ে নীতিগত ভুল হয়ে গিয়েছে। সরকারের দূরদৃষ্টির অভাবের কারণেই এমনটা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আসাদুদ্দিন।

আরও পড়ুন- ভাষণ বিকৃতির অভিযোগ, সংবাদমাধ্যমকে কাঠগড়ায় তুললেন খালিদের আইনজীবী

২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার কেন্দ্রের ক্ষমতা দখলের পরে নাগরিকত্ব আইনের বদল করে মোদি সরকার। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল আইনে পরিণত হয়। যা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। দীর্ঘ মেয়াদী আন্দোলন শুরু হয় দিল্লির শাহিনবাগে। পড়ে ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনার দাপট বাড়তে থাকায় সেই আন্দোলনে ভাটা পড়ে। সমগ্র বিষয়টি থিতিয়ে যায়। করোনার টিকাকরণ সম্পন্ন হলেই ওই আইন প্রণয়নের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

RELATED ARTICLES

Most Popular