গান্ধীনগর: মোদির নিজের রাজ্য গুজরাতে ক্রমশ জমি হারাচ্ছে বিজেপি। যা বেশ ভালো টের পেয়েছে পদ্ম শিবির এবং তাদের রাজনৈতিক পথ প্রদর্শক রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিজয় রুপানি(Vijay Rupani)। এমনই দাবি করেছেন গুজরাত(Gujarat) কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি হার্দিক প্যাটেল।
শনিবার আচমকাই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিজয় রুপানি৷ তাঁর ইস্তফার খবরে আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে রাজনৈতিক মহলে৷ শনিবার দুপুরের পর থেকে যাঁকে নিয়ে এত আলোচনা শুরু হয়েছে সেই বিজয় রুপানি অবশ্য নির্বিকার৷ ইস্তফা দেওয়ার পর তাঁর প্রতিক্রিয়া, নতুন কারওর নেতৃত্বে এগিয়ে চলুক গুজরাত৷
দিল্লির নেতৃত্বের নির্দেশেই আমচকা ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজয় রুপানি। এমনই দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা হার্দিক প্যাটেল। নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন। তাঁর মতে, “আগামী দিনে গুজরাতে সরকার গড়তে চলেছে কংগ্রেস। সেটা বিজেপি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ বেশ ভালোই বুঝতে পেরেছে। তাই আচমকা মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে বিজয় রুপানিকে সরিয়ে দেওয়া হল।”
কোন অঙ্কে আগামী দিনে গুজরাতের বিধানসভা গঠিত হবে তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন হার্দিক প্যাটেল। তিনি জানিয়েছেন যে ৪৩ শতাংশ ভোট নিয়ে গুজরাতের ৯৬ থেকে ১০০টি আসন দখল করবে কংগ্রেস। ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ৮০ থেকে ৮৪টি আসন। তিন শতাংশ ভোট পেলেও কোনও আসন পাবে না কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। এক শতাংশ ভোট পেলেও কোনও আসন পাবে না আসাদুদ্দিনের মিম। ১৫ শতাংশ ভোট নিয়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ঝুলিতে চারটি আসন যেতে পারে।
কংগ্রেসের আভ্যন্তরীণ সমীক্ষা নয়। বিজেপি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ নিজেরাই একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল এবং সেই সমীক্ষাতেই এই রিপোর্ট উঠে এসেছে। এমনই দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা হার্দিক প্যাটেল। আর ১৫ মাস পর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন৷ তার আগে শনিবার বারবেলায় মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন বিজয় রুপানি৷ বিজেপি সূত্রে খবর, দিল্লির নির্দেশেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রুপানি৷ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর কাজকর্মে খুশি ছিল না শীর্ষ নেতৃত্ব৷ তাই তাঁকে দ্রুত ইস্তফার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷