বাড়ির গ্যারেজে বা রাস্তার ধারে দিনের পর দিন বহু গাড়ি পড়ে থাকে। সে গুলো হয়তো আর ব্যবহারের যোগ্য নেই। কিংবা একেবারেই খারাপ হয়ে গেছে। এই সব বাতিল গাড়ি গুলিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে মোদি সরকার। শুক্রবার গুজরাটে একটি বিনিয়োগকারী সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্ক্র্যাপেজ পলিসির কথা ঘোষণা করেন।
কী এই স্ক্র্যাপেজ পলিসি ?
যে সকল বাণিজ্যিক কাজের গাড়ি ১৫ বছরের বেশি ব্যবহার করা হয়েছে এবং যাত্রীবাহী কোনও গাড়ি ২০ বছরের বেশি ব্যবহার হয়েছে, অথচ গাড়ির ফিটনেস এবং দূষণ পরীক্ষায় এই গাড়িগুলি উত্তীর্ণ হয় না, সেক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ভাবে ওই গাড়িগুলিকে বাতিল করা হবে।
আমেরিকা, জার্মানি, কানাডা সহ বিদেশের বেশ কিছু জায়গায় এই নিয়ম প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। এবার ভারতে এই পলিসি চালু করতে চলেছে মোদি সরকার। চলতি বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে এই নতুন পলিসির কথা উল্লেখ করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছে, যানবাহনগুলিকে কেবল তাদের বয়সের উপর ভিত্তি করেই বাতিল করা হবে না। সেই সঙ্গে একটি গাড়ির অন্যান্য স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা করে দেখা হবে। সেখানে অযোগ্য প্রমাণিত হলে বাতিল হবে সেই গাড়ি। তবে গাড়ি বাতিল হলেও নতুন গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ছাড় পাবেন গাড়ির মালিকরা। যানবাহন স্ক্র্যাপেজ নিয়ম অনুযায়ী, পুরনো গাড়ির স্ক্র্যাপেজের পর একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হবে, যার মাধ্যমে গাড়ির মালিকরা নতুন গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ছাড় পাবেন। পরিবেশ বান্ধব অর্থনীতি গড়ে তুলতেই এই নিয়ম আনা হচ্ছে বলে জানান মোদি। এই স্ক্র্যাপেজ পলিসি ব্যবহার করে দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ে উঠবে এবং এই কাজের মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। সেই সঙ্গে নতুন গাড়ির চাহিদা বাড়বে বলেও মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার।