মুম্বই: গত ১০ বছরে কংগ্রেসের শক্তিক্ষয় হয়েছে। কিন্তু বিজেপি বিরোধী জোট কংগ্রেসকে (Shiv Sena Congress) ছাড়া সম্ভব নয়। দলীয় মুখপত্র ‘সামনা’তে এমনটাই লিখেছে শিবসেনা। উদ্ধবের দলের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসকে (Shiv Sena Congress) দূরে রাখলে ফ্যাসিস্ত শাসক শক্তিশালী হবে। দিন কয়েক আগে মুম্বই সফরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ইউপিএর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুললেও শিবসেনার মতে, বিরোধীদের ইউপিএর প্রয়োজন রয়েছে। ইউপিএর সমান্তরাল জোট করলে বিজেপিই সুবিধা পেয়ে যাবে।
‘সামনা’তে লেখা হয়েছে, জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসকে ‘ব্রাত্য’ করে রাখা হলে বিজেপির মতো ফ্যাসিবাদী শক্তির হাত আরও শক্ত হবে। লোকসভা ভোটে কংগ্রেস ১০০-র বেশি আসন না পেলে জাতীয় স্তরে চিত্র কোনও ভাবেই বদলাবে না। সেই কারণেই কংগ্রেসকে জোট থেকে দূরে রাখলে আদপে মোদির বিজেপি অ্যাডভান্টেজ পেয়ে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বাঘিনী’ বলে চিহ্নিত করেছে শিবসেনা। কিন্তু তারা এও স্পষ্ট করে দিয়েছে, বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে কংগ্রেসের মতো সর্বভারতীয় শক্তির বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে।
শিবসেনার মুখপত্রে কংগ্রেসের দুই মুখ রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীরও ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। ইউপিএর মুখ প্রসঙ্গে লেখা হয়েছে, বিরোধী হিসেবে যে কাজ করা উচিত, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা সেই ভূমিকায় পালন করছেন। ইউপিএর নেতৃত্বে কে থাকবেন, তা ভাবার সময় এখনও আসেনি। সমস্ত পথই খোলা রাখতে হবে। শিবসেনার মতে, বিজেপি কংগ্রেস মুখ দেশ গঠন করতে চাইবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু মোদি-বিরোধিতায় যাঁরা লড়ছেন, তাঁরাও কংগ্রেসের ক্ষতি করলে সেটা বিপজ্জনক হতে পারে।
আরও পড়ুন: Constitution Amendment Bill: সংবিধান বদলাতে রাজ্যসভায় বিল বিজেপি সাংসদের, বিরোধীদের বাধায় ‘স্থগিত’
মমতার লড়াইয়ের প্রসঙ্গও উঠে এসে শিবসেনার মুখপত্রে। লেখা হয়েছে, বাংলায় ‘বাঘের মতো’ লড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে একক ক্ষমতায় হারিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, কংগ্রেস, বামফ্রন্টকে সাফ করে দিয়েছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০২৪-এ লড়াইটা যে খুব একটা সহজ হবে না, তা আঁচ করতে পেরেছে শিবসেনা। এই পরিস্থিতিতে সব রাস্তা খোলা রাখতে চাইছে উদ্ধবের দল। সে কারণেই মহারাষ্ট্রে জোটসঙ্গী কংগ্রেসকে যেমন গুরুত্ব দিচ্ছে, ঠিক তেমনই জাতীয় রাজনীতিতে অন্যতম জনপ্রিয় মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে ভবিষ্যতে নতুন সমীকরণের সম্ভাবনাও জিইয়ে রাখছে।