নীল ষষ্ঠী: বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী, বছরের শেষ ষষ্ঠী পালিত হয় নীলের পুজো বা নীলষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে। চৈত্র সংক্রান্তির চড়ক উত্সবের ঠিক আগের দিন ধুমধাম করে পালিত হয় বাঙালির এই লোকোত্সব। নীলের পুজো সাধারণত নীল ও নীলাবতী নামে এক বিবাহ উত্সব অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার পালিত হবে নীলষষ্ঠী (Nil Sasthi 2024)।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব ৩৮)
নীল ষষ্ঠীর দিন, সারাদিন ষষ্ঠীর উপবাস ও ব্রত রেখে সন্ধ্যালগ্নে শিবের মাথায় জল ঢালেন মায়েরা। বিবাহিত মহিলারা কন্যা ও পুত্রসন্তানের মঙ্গলকামনায় নীরোগ ও সুস্থ জীবন কামনায় নীলষষ্ঠী ব্রত পালন করে থাকেন। নীলের কোনও অবয়ব নেই, তবে নিম ও বেল কাঠকে নীলের মূর্তি হিসেবে পুজো করা হয়। নীলপুজোর আগের দিন অধিবাস পালন করা হয়। নীলের পুজোয় গঙ্গাস্নান করা আবশ্যিক। নীলকেও গঙ্গাস্নান করে নতুন লালশালু কাপড় পরিয়ে, ফুল দিয়ে সাজিয়ে দেওয়া হয়। এদিন নীলের উপবাস রেখে, শিবের মাথায় ডাবের জল ঢালা হয়। বেল ফল, বেল পাতা, আকন্দ ফুল ও ফল, অপরাজিতা ফুল নিবেদন করারও নিয়ম রয়েছে।
আরও পড়ুন: কালো তিলেই ফিরবে জীবনের আলো! জেনে নিন
বাংলার লোককথা অনুসারে, নীলসন্ন্যাসীরা ও শিব-দুর্গার সঙেরা পুজোর সময় নীলকে ফুল দিয়ে সাজিয়ে পাড়ায় পাড়ায় নৃত্য ও লোকগান গেয়ে থাকেন। নীলের এই গান গাওয়াকে অষ্টক বলা হয়। সারাদিন উপোস রেখে সন্তানের সুখ-সৌভাগ্য ও দীর্ঘ জীবনের কামনা করে, প্রদীপ জ্বালিয়ে শিবের পুজো করেন মহিলারা। তারপর শিবের প্রসাদ খেয়ে উপবাস ভঙ্গ করেন। নীল ষষ্ঠীর পরের দিনই চৈত্র মাসের শেষ দিন হিসেবে পালিত হয়। সেদিন চৈত্র সংক্রান্তিও (Chaitra Sankranti 2024) পালন করা হয়।
আরও খবর দেখুন