বীরভূম: ১৫ বছরের সাংসদ, অথচ গ্রামে নেই উন্নয়ন ছোঁয়া। তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় (TMC Candidate Shatabdi Roy) গ্রামে আসতেই বিজেপির পতাকা দেখালেন গ্রামবাসীদের একাংশ। প্রচারে (Election Campaign) বেরিয়ে আবার ক্ষোভের মুখে শতাব্দী। বিক্ষোভের মুখে হেসে ফেলেন বীরভূম লোকসভার বিদায়ী সাংসদ তথা এ বারের প্রার্থী শতাব্দী রায়। মেজাজ না হারিয়ে ঠান্ডা মাথায় গোটা বিযষটি সামলে নিলেন। মহম্মদবাজারের বাটেরবাঁধ গ্রামে কোনও উন্নয়ন হয়নি, এই দাবি তুলে তাঁকে বিজেপির পতাকা দেখান কয়েক জন। বিক্ষোভকারীদের দেখে হেসে ফেলেন তৃমমূল প্রার্থী।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ গোটা গ্রামেজুড়েই ছিটেফোঁটা উন্নয়ন হয়নি। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির রাকেশ মণ্ডলের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক ক্ষোভ। শতাব্দী রায়কে বিজেপির পতাকা হাতে প্রতিবাদ জানালেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার এমনই ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের মহম্মদবাজার (Mohammad Bazar in Birbhum) ব্লকের রামপুর পঞ্চায়েতের বাটেরবাঁধ গ্রামে। যদিও বিজেপি কর্মীদেরকে পাল্টা শতাব্দী রায়, ধন্যবাদ জানান এবং ভালো থাকার বার্তা দেন। তাঁর পাল্টা দাবি, কোথায় বিজেপি? একজন বয়স্ক লোক পতাকা হাতে। বাকি ১০-১২ বছরের নাবালকের হাতে পতাকা ধরিয়ে দিয়েছে।
মঙ্গলবার সাতসকাল মহম্মদবাজার ব্লকের একাধিক গ্রামে প্রচারে যান তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। সেই প্রচার চলাকালীন তিনি রামপুর পঞ্চায়েত এলাকার বাটেরবাঁধ গ্রামে পৌছান। সেখানেই তাঁকে বিজেপির কয়েকজন কর্মী পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শতাব্দীর গাড়ি আসতেই তাঁরা উন্নয়নের স্লোগান তুলে পদ্ম পতাকা দেখাতে থাকেন। যদিও শতাব্দী রায় তাঁদেরকে উত্তরে বলেন,” ধন্যবাদ৷ ভালো থেকো।” বিজেপি কর্মীদের দাবি, গ্রামে কোন উন্নয়ন হয়নি। আবাস যোজনার বাড়ি করে দেওয়ার জন্য তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রাকেশ মণ্ডল টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ। পানীয় জল এবং রাস্তার দাবি নিয়ে অভিযোগ করেন। যদিও সেই অভিযোগ নিয়ে শতাব্দী রায় বলেন, যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁকে জিজ্ঞেসা করুন। অন্যদিকে রাকেশ মণ্ডল বলেন, মিথ্যা অভিযোগ। ওঁদের সংগঠন দুর্বল হয়েছে বলে এসব করছে।
আরও পড়ুন: অবশেষে ডায়মন্ড হারাবার কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির
প্রসঙ্গত,সোমবার সাঁইথিয়ার বাতাসপুর এলাকায় ভোটপ্রচারে গিয়েছিলেন বীরভূম লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী। প্রচারে যেতে গিয়ে বেশ কিছু ক্ষণ বীরভূমের সাঁইথিয়া এলাকায় আটকে থাকেন শতাব্দী। আবাস প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ করেন কয়েক জন। গ্রামবাসীদের দাবি, দীর্ঘ দিন ধরে পানীয় জলের অসুবিধার কথা বলা হলেও সেই সমস্যার সুরাহা করেনি প্রশাসন। এমনকি, গ্রামে বেশ কিছু রাস্তা সারাই হয়নি।
অন্য খবর দেখুন