বাঁকুড়া: তোরণ তৈরির জন্য কাটা হয়েছে রাস্তা। তাই ঘুরপথে হাসপাতালে (Hospital) পৌঁছনোর আগেই পথে মৃত্যু হল প্রসূতির। ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে প্রসূতির পরিবার সহ স্থানীয় বাসিন্দারা। হাসপাতালে ঢোকার মুখে তোরণ তৈরির জন্য কাটা হয়েছে গর্ত। বেশ কয়েকদিন ধরে গর্ত থাকার কারণে সমস্যায় পড়ছেন রোগী ও আত্মীয়রা। রাস্তা কাটা দেখে হাসপাতালে ঢোকার পথ খুঁজে পাননি এক প্রসূতির পরিজনেরা। হাসপাতালে পৌঁছতে দেরি হওয়ায় পথেই মারা যান ওই প্রসূতি। এমনটাই অভিযোগ। এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (Jaipur Block Primary Health Center in Bankura)।
বাঁকুড়া জয়পুর ব্লকের ডান্ডে গ্রামে নিজের বাপের বাড়িতেই ছিলেন প্রসুতি তাপসী মন্ডল। শুক্রবার রাত থেকেই শারিরীক সমস্যা শুরু হয় তাপসী মন্ডলের। শুক্রবার রাত থেকেই শারিরীক সমস্যা শুরু হয় তাপসী মন্ডলের। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো পরিবারের লোকজন তাঁকে ওষুধও দেন। কিন্তু তারপরও সমস্যা ক্রমশ বাড়তে থাকায় ওই প্রসুতিকে হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের লোকজন। শনিবার ভোরে প্রসুতিকে গাড়িতে চাপিয়ে প্রথমে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু রোগীর রাস্তায় সমস্যা ব্যাপক আকার নিলে তড়িঘড়ি নিকটবর্তী জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন পরিবারের লোকজন। চিকিৎসকের পরামর্শ শনিবার ভোরে জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন পরিবারের লোকজন।
আরও পড়ুন: তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে এনআইএ তদন্ত চায় বিজেপি
হাসপাতালে পৌঁছানোর কিছুটা আগেই নির্মীয়মাণ তোরণ তৈরীর জন্য রাস্তা কাটা থাকায় প্রায় তিন কিলোমিটার ঘুরপথে হাসপাতালে যেতে হয় রোগী ও রোগীর পরিজনদের। রোগীর পরিজনদের দাবি, এই তিন কিলোমিটার ঘুরপথে হাসপাতালে যেতে তাঁদের প্রায় ৩০- ৪০ মিনিট সময় নষ্ট হয়। আর তার জেরেই হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই প্রসুতির মৃত্যু হয়েছে। মৃতার পরিবারের দাবি ঘুরপথে হাসপাতালে পৌঁছাতে না হলে আরও আগে প্রসূতিকে অক্সিজেন দেওয়া যেত। আর তেমনটা হলে প্রসুতির মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হত। স্বাভাবিক ভাবে এই ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন প্রসূতির পরিবারের লোকজন। হাসপাতালে যাওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় তোরণ তৈরীর জন্য কীভাবে দিনের পর দিন রাস্তা কাটা রয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মৃতার পরিবার। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েচগে জয়পুর পঞ্চায়েত সমিতি।
আরও অন্য খবর দেখুন