কলকাতা: এবার মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের (Mahaprabhu Shri Chaitanya) নামে কলকাতার (Kolkata) এক রাস্তার (Road) নামকরণ করল কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipality)। চিড়িয়া মোড় থেকে দমদম স্টেশন পর্যন্ত যে রাস্তাটি এতদিন দমদম রোড নামে পরিচিত ছিল এবার সেই রাস্তাটির নামকরন করা হয়েছে মহাপ্রভু চৈতন্যদেব সরণী।
মহাপ্রভুর বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারের সঙ্গে কলকাতার পার্শ্ববর্তী স্থান পানিহাটি, খড়দহ, বরাহনগরের নামগুলি ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। কলকাতার বিভিন্ন স্থান বিশেষত বরানগর,বাগবাজার অঞ্চল মহাপ্রভুর বিচরণ ক্ষেত্র। তাই বাগবাজার গৌড়ীয় মঠের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে দীর্ঘদিন ধরে আর্জি জানানো হয় এই অঞ্চলের কোনও রাস্তা মহাপ্রভুর নামে হোক। ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর মঠ কর্তৃপক্ষ কলকাতা পুরসভাকে এ ব্যাপারে এক আবেদন পত্র দেয়। ওই বছরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাগবাজারে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু মিউজিয়ামের উদ্বোধন করতে এসে কলকাতা পুরসভাকে চৈতন্যদেবের নামে রাস্তার নামকরণে নির্দেশ দেন । কিন্তু বরাহনগর ও বাগবাজার পার্শ্ববর্তী সব রাস্তা হেরিটেজ তকমা প্রাপ্ত। তাই এই রাস্তাগুলির নাম পরিবর্তন করা সম্ভবপর নয় বলে চিড়িয়ামোড় থেকে দমদম পর্যন্ত দমদম রোড রাস্তাটিকে চিহ্নিত করা হয়। ওই রাস্তার নাম দেওয়া হয় ‘মহাপ্রভু চৈতন্যদেব সরণী’। বাগবাজার গৌড়ীয় মঠের প্রচেষ্টায় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্যোগে কলকাতা পুরসভার এই কাজকে চৈতন্য অনুরাগী সবমহলই সাধুবাদ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের মুখে ব্লক স্তরে ব্যাপক রদবদল তৃণমূলে
শ্রীগৌড়ীয় মঠের আচার্য্য ও সভাপতি শ্রীমৎ ভক্তিসুন্দর সন্ন্যাসী মহারাজ বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হওয়ার জন্য আমরা খুশি। রাজ্য সরকারকেও বাগবাজার গৌড়ীয় মঠের তরফ থেকে ধন্যবাদ । এর আগে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ঢাকুরিয়া ব্রিজের নাম চৈতন্যমহাপ্রভু সেতু নামকরণ হলেও মহাপ্রভুর নামে রাস্তার কোনও নামকরণ করা হয়নি। এই প্রথম কলকাতায় চৈতন্য মহাপ্রভুর নামে রাস্তার নামকরণ হল। এর ফলে আগামী প্রজন্ম যেমন মহাপ্রভুর সঙ্গে কলকাতার সম্পর্ক জানতে আগ্রহী হবে। তেমনই মহাপ্রভুর নাম ও তাঁর কর্মকাণ্ড প্রচারের যে কাজ তাঁরা করে চলেছেন সেই কাজ আরও সহজ হবে।
তিনি আরও দাবি করেন কোনও মেট্রো স্টেশনের নাম মহাপ্রভুর নামে করার।
মহাপ্রভুর জীবন ও কর্মকাণ্ড নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করে চলেছে ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টার। রিসার্চ সেন্টারের ডিন ড. সুমন্ত রুদ্রও মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তাঁরা যে চৈতন্যবিষয়ক বিভিন্ন পুঁথি ও বই সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করছেন এবং বিভিন্ন গবেষণাধর্মী কাজ করে চলেছেন এমন কাজ তাঁদের আরও অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করবে।
আরও খবর দেখুন