কলকাতা: পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এদিন যে অভিযোগ করেছেন তা অত্যন্ত দুর্বল চিত্রনাট্য। জেলে থাকা ১২০ কেজি ওজনের আসামি তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন, তার পিছনে কে বা কারা রয়েছে, তা মহামান্য আদালতের খতিয়ে দেখা উচিত বলে এদিন মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে ঢোকার মুখে শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সন্ধ্যায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর বক্তব্যের জবাব দিতে সাংবাদিক বৈঠক করলেন বিরোধী দলনেতা। সেখানে পার্থকে তো বটেই, সেই সঙ্গে তৃণমূল এবং দলের নেতা কুণাল ঘোষকেও আক্রমণ করেন শুভেন্দু।
তিনি বলেন, এর আগে সুদীপ্ত সেনকে দিয়েও এই একই নাটক করা হয়েছিল। প্রেসিডেন্সি জেলের (Presidency Jail) বর্তমান সুপার দেবাশিস চক্রবর্তীর দুটি ফোন নম্বর ট্র্যাক করে হোয়াটসঅ্যাপ এবং কল রেকর্ড করা উচিত। বুধবার বিকেল চারটে থেকে চারটে পনেরো পর্যন্ত, প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তীর ঘরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর মহিলা আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই এই চিত্রনাট্য রচিত হয়েছে, বলে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। আদালতের কাছে দাবি জানালেন, ওই সময়কালের প্রেসিডেন্সি জেলের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে দেখা হোক। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে বলেও এদিন জানান তিনি।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, যে বা যারা তাঁর বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ করছেন, তাঁরা এর আগে সারদার সময়ও মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, আমার বিরুদ্ধে কেউ চাকরি সংক্রান্ত বিষয় থেকে শুরু করে কোনও বিষয়ে ন্যূনতম সুপারিশ করা চিঠি বা আমার হাতে লেখা ছেঁড়া কাগজের টুকরো দেখাতে পারবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং গত আড়াই বছর ধরে আমার বিরুদ্ধে এজাতীয় অনেক মিথ্যা প্রচেষ্টা করে চলেছেন তাতেও উনি ব্যর্থ হয়েছেন।
আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণিত তথ্যসমৃদ্ধ অভিযোগ নেই। কেবলমাত্র তৃণমূলের ভাইপোর কনসপিরেসিতে সুলতান আহমেদ, ইকবাল আহমেদরা নির্বাচনী ফান্ড বলে মিথ্যাকে ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিল। যার সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ ছিল না বলে জানালেন শুভেন্দু।
আসন্ন রামনবমী (Ram Navami 2023) উপলক্ষে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার বিজেপির পক্ষ থেকে রামনবমীর মিছিল বন্ধ করার জন্য কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ রামনবমীর মিছিলের জন্য অনুমতি দেয়নি। উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায় রামচন্দ্রের ছবি দেওয়া ফ্লেক্স, ফেস্টুন, হোর্ডিং, ব্যানার জোর করে পুলিশ খুলে নষ্ট করে ফেলেছে। তা সত্ত্বেও আগামী রামনবমীর দিন সনাতনী সংস্কৃতি মেনেই রামচন্দ্রের ছবি নিয়ে শান্তিপূর্ণ মিছিল করা হবে বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরাজ্যের সমস্ত ধর্মাবলম্বী শান্তিপ্রিয় মানুষ এই রামনবমীর মিছিলের পক্ষে রয়েছেন, কেউ বিরোধিতা করেননি। কেবলমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর নির্দেশ মেনে পুলিশবাহিনী বলপূর্বক রামনবমীর মিছিল বন্ধ করতে চাইছে। এর বিরুদ্ধে সমস্ত ধর্মপ্রাণ মানুষ প্রতিবাদ জানাবে।