শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রী রেনুকাকে খুন স্বামীর। এই খবর পাওয়ার পরই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঘটনাস্থলে শুরু হয় দেহ খোঁজার কাজ। অবশেষে শুক্রবার মহানন্দা ক্যানাল থেকে উদ্ধার হল রেনুকার দেহের অংশ। দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার কাণ্ডের ছায়া এবার এ রাজ্যেও। বৃস্পতিবার পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে মেরে দুটুকরো করে থানায় স্ত্রীর নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে স্বামী। ইতিমধ্যে মৃতার স্বামী আনসারুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় রীতিমতো হতবাক পুলিশ থেকে শহরবাসী।
শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রকাশনগরে আনসারুল ও তার স্ত্রী রেনুকা খাতুন থাকতেন। ছ’বছর আগে আনসারুলের সঙ্গে বিয়ে হয় রেনুকার। পেশায় আনসারুল একজন রঙ মিস্ত্রী। ওই দম্পত্তির একটি সন্তানও রয়েছে। মাসখানেক আগে রেনুকা শিলিগুড়ির কলেজ পাড়ায় বিউটিশিয়ান কোর্সে ভর্তি হন। এরপর থেকেই স্বামীর মনে স্ত্রীর পরকীয়ার সন্দেহ দানা বাঁধে। গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে আচমকা নিখোঁজ হয়ে যায় রেনুকা। ছিক তার পরদিন ২৫ ডিসেম্বর শিলিগুড়ি থানায় শ্বশুরের সঙ্গে গিয়ে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন আনসারুল। এরপরই তদন্তে নেমে আনসারুলের উপর সন্দেহ হল শিলিগুড়ি থানার পুলিশের।
আরও পড়ুন:Kanpur Cold Wave: প্রবল শৈত্যপ্রবাহে কানপুরে মৃত ২৫
আনসারুলকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তার বক্তব্যে অসঙ্গতি পেলে তাকে আটক করে দফায় দফায় জেরা করা হয়। শেষমেশ জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে আনসারুল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় আনসারুল জানায়, ২৪ ডিসেম্বর রাতে স্ত্রীকে নিয়ে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ির গোয়ালটুলি মোড়ের কাছে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে খুন করে। এরপর দেহ লোপাটের জন্য মাথা শরীর থেকে কেটে আলাদা করে দেয় এবং দুটি আলাদা বস্তায় ঢুকিয়ে ক্যানেলে ভাসিয়ে দেয়।