কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: জি-৭ বৈঠক শুরু হতে চলেছে। আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডা ও জাপানের রাষ্ট্রনেতারা ইতিমধ্যেই জার্মানিতে পৌঁছে গিয়েছেন। ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার অনৈতিক আক্রমণের প্রেক্ষাপটে এবারের এই বৈঠক। যুদ্ধের আবহে ৭ শক্তিধর দেশ ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যুদ্ধ থামাতে রাশিয়ার উপর চাপ সৃষ্টি অথবা মধ্যস্থতার ব্যাপারেও আলোচনা হতে পারে বলে কূটনীতিকরা মনে করছেন।
বাভারিয়ার মিউনিখে এবারের বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও মিউনিখে পা রেখেছেন। ২৬ এবং ২৭ জুন চলবে জি-৭ বৈঠক। এর ফাঁকে প্রায় এক ডজন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে তাঁর আলোচনার কথা রয়েছে। ২৮ জুন মোদি সংযুক্ত আরব আমিরশাহি যাবেন। রবিবার জার্মানি পৌঁছেই মোদি অনাবাসী ও প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে মিলিত হন। তাঁদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: Agnipath: অগ্নিপথ প্রকল্পে সেনায় ভর্তির সুযোগ হাতছাড়া, উত্তরপ্রদেশে আত্মঘাতী যুবক
জি-৭ বৈঠকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামাতে ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির বিশেষ আগ্রহ নাও থাকতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। এমনকী তাতে যদি ইউক্রেনকে আরও ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয় তাও। কারণ, সম্প্রতি ইউরোপের একটি জনমত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বেশ কিছু ভোটার আপাতত রাশিয়াকে শাস্তিদানের থেকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে জীবনধারণের খরচ বেড়ে যাওয়ার সমস্যা নিয়েই বিশেষ চিন্তিত। তাই জি-৭ বৈঠকটি শেষপর্যন্ত ঘোলাজলে মাছ ধরার মতো আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে বলে অনেকের ধারণা। তবে, রাশিয়ার কাছ থেকে সোনা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সকলে একমত হতে চলেছে বলেই জানা যাচ্ছে। জ্বালানির পর সোনা রপ্তানি করেই রাশিয়ার অর্থনীতি চলে। সে কারণে বড় দেশগুলি রাশিয়ার কাছ থেকে সোনা না-কিনলে সঙ্কটে পড়তে পারেন পুতিন।
সব মিলিয়ে জি-৭ ভুক্ত দেশগুলি রাশিয়াকে এমন একটি বার্তা দিতে চলেছে, যাতে সাপও না মরে, লাঠিও না ভাঙে। কারণ, পশ্চিমী দেশগুলি এখন নিজের ঘরেই জিনিসপত্রের দামবৃদ্ধি নিয়ে বেসামাল। তাদের ঘরোয়া রাজনীতি সামলাতে এবং ভোটব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে পারে কোনও কোনও দেশ। বিশ্বে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সঙ্কট মেটাতে জি-৭ কী ভূমিকা নেয়, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলির মানুষ। জ্বালানি সহ খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে খাদ্য সঙ্কটে ভুগছে অনেক দেশ। তার জন্য তারা শক্তিধর দেশগুলিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে। এইসব সমস্যা নিয়েও আলোচনা হবে এই বৈঠকে।