কলকাতা: ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত অধ্যাপককে বহিষ্কার ও গ্রেফতারের দাবি জানালেন অভিযোগকারিনী গবেষক ছাত্রী৷ অনেকদিন ধরেই এমফিলের ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন ওই অধ্যাপক৷ গত শনিবার থিসিস পেপার নিয়ে কথা বলতে ছাত্রীকে নিজের কোয়ার্টারে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তিনি৷ অভিযোগ, সেখানে তাঁকে জোর করেন অভিযুক্ত৷ কোনওমতে নিজেকে ছাড়িয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান গবেষক ছাত্রী৷ দীর্ঘদিন ধরে এসব সহ্য করছিলেন তিনি৷ কিন্তু শনিবারের ঘটনার পর অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন গবেষক ছাত্রী৷ তাঁর অভিযোগের পরই অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ অভিযুক্ত অধ্যাপককে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সমস্ত কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়৷ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বজায় থাকবে বলে সূত্রের খবর।
ছাত্রীর অভিযোগ, দেড় বছর ধরে তাঁকে উত্ত্যক্ত করতেন অভিযুক্ত৷ নানা অছিলায় তাঁকে স্পর্শ করতে চাইতেন৷ অফিসে ডেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিতেন৷ বাধ্য হয়ে অধ্যাপকের অফিসে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন৷ পরিবারকেও বিষয়টি জানিয়েছিলেন৷ তবে শনিবারের ঘটনার পর আর চুপ করে বসে থাকতে পারেননি৷ তিনি অভিযুক্ত অধ্যাপককে বহিষ্কার ও গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন৷
অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যাদবপুর থানাতেও অভিযোগ জানিয়েছেন৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের কাজেও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: Presidential Polls: ছক্কা হাঁকালেন মমতা, যশবন্তের প্রচার শুরু সিপিএমের কেরল থেকে