কলকাতা: পুলিশ শুধু অপরাধ দমন করবে না৷ পুলিশ মানুষের বন্ধু হয়ে উঠবে। এই ব্রত নিয়ে গত দুই দশকের বেশি কাজ করে চলেছে কলকাতা পুলিশ। করোনা পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গরিবদের খাবার সরবরাহ থেকে শুরু করে করোনা আক্রান্ত রোগীকে হসপিটালে ভর্তির মতো কাজ করছে কলকাতা পুলিশ। এবার এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ কলকাতা পুলিশের সাউথ ওয়েস্ট ট্রাফিক গার্ডের। তারা শহরের বস্তির শিশুদের পড়াশোনার উদ্যোগ নিয়েছে৷
আরও পড়ুন-কোভিডের জমে থাকা মামলার নিষ্পত্তিতে লোক আদালত বসাতে চলেছে লালবাজার
করোনার অতিমাতির প্রভাবে প্রায় দুবছর ধরে বন্ধ রয়েছে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এরফলে চিড় ধরেছে পড়াশোনার কাঠামোয়। এমনকী, বন্ধ হয়ে গেছে বিনোদনমূলক সমস্ত অ্যাক্টিভিটি। শিশুদের দিন কাটছে ঘরের চার দেয়ালের মধ্যেই। স্কুল বা টিউশন গুলো শুরু করেছে অনলাইন ক্লাস। অন্যদিকে, গানের ক্লাস থেকে শুরু করে নাচ শেখা, আঁকার ক্লাস সবই হচ্ছে মুঠোফোন বা ল্যাপটপ-ট্যাবের মাধ্যমেই।
আরও পড়ুন-ঝুলন উপলক্ষ্যে রামলালাকে ২১ কেজি ওজনের রুপোর দোলনা উপহার
বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি শহর কলকাতার বহু পড়ুয়ার পক্ষে স্কুল টিউশন তো দূর অস্ত, ল্যাপটপ ট্যাবে অনলাইন ক্লাস অলীক কল্পনা। যেমন মাঝেরহাট মধু বস্তির শিশুরা। তাদের দিন কাটে অভাবের মধ্যে। তারমধ্যে করোনায় তাদের মুখে দু’মুঠো ভাত জোটাতে হিমশিম খাচ্ছেন বাবা-মায়েরা।এ রকম পরিস্থিতিতে মুশকিল আসান করতে এগিয়ে এসেছে কলকাতা পুলিশের সাউথ ওয়েস্ট ট্রাফিক গার্ড। এই ট্রাফিক গার্ডের ওসি প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না পর্যন্ত মাঝেরহাট মধু বস্তির বাচ্চাদের পড়াশোনার দায়িত্ব সাউথ ওয়েস্ট ট্রাফিক গার্ডের পুলিশের।
আরও পড়ুন-মমতায় অনুপ্রাণিত সমাজকর্মী সাকেত গোখলে, যোগ দিলেন তৃণমূলে
প্রতিদিন বিকেলে দু’ঘণ্টা করে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস হবে।গাছের গুড়ির সঙ্গে আটকানো থাকবে একটি ব্ল্যাকবোর্ড৷ তাতে লিখেই শিশুদের বোঝানোর জন্য থাকবে মার্কার পেন, থাকবে বেশ কিছু বইও৷ আর উর্দিধারী মাস্টারমশাই বা দিদিমনির জন্য থাকবে টেবিল চেয়ার।বস্তির সমস্ত ঘরের শিশুরা প্রতিদিন ক্লাস করার জন্য আসছে কিনা তা নিশ্চিত করা হবে।