Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeকলকাতাCalcutta High Court | অভিজিতের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে চাকরিহারাদের একাংশ

Calcutta High Court | অভিজিতের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে চাকরিহারাদের একাংশ

Follow Us :

কলকাতা: একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল গ্রুপ-সির (Group C) চাকরিহারাদের একাংশ। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abijit Ganguly) নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ  হন ৮৪২ জন চাকরিহারা। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের (Subrata Talukdar) ডিভিশন বেঞ্চ চাকরিহারাদের আবেদন গ্রহণ করেছে। চলতি সপ্তাহেই এই মামালার শুনানি হতে পারে। 

গত শুক্রবার বিচারপতি  অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া এই ৮৪২ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ মেনে শনিবার বেলা ১২টার মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশন ওই ৮৪২ জনের সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের কথা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়। ওই দিনই বেলা ৩টের সময় মধ্য শিক্ষা পর্ষদও তাঁদের নিয়োগপত্র প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে। 

আরও পড়ুন: Parliament’s Budget Session 2023 | রাহুলকে ‘ক্ষমা’ চাইতে হবে, বিজেপির দাবিতে উত্তাল সংসদ, মুলতুবি 

বিচারপতির আরও নির্দেশ ছিল, এই ৮৪২টি শূন্য পদে অপেক্ষা তালিকা থেকে প্রার্থীদের কাউন্সেলিংয়ে ডাকতে হবে। ওই অপেক্ষা তালিকাতেও কোনও বেনিয়ম হয়েছে কি না, সে দিকেও নজর দিতে বলে আদালত। হাইকোর্টের নির্দেশ, ২৫ মার্চের মধ্যে কাউন্সেলিং শেষ করতে হবে। 

উল্লেখ্য,  স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ সি-তে নিযুক্ত ৪১.৩৩ শতাংশ প্রার্থীরই চাকরি বাতিল করেছে  কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রুপ সি-তে চাকরি পান ২০৩৭ জন। তার মধ্যে থেকেই বেনিয়মের অভিযোগে ৮৪২ জনের চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে। বিচারপতির নির্দেশ, ওই চাকরিচ্যুতরা কেউ স্কুলে ঢুকতে পারবেন না। স্কুলের কোনও কাগজপত্র বা জিনিসপত্রে হাতও দিতে পারবেন না। তাঁদের বেতনও বন্ধ করে দিতে হবে। 

নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে বিচারপতি  শুক্রবার আরও বলেন, এর জন্যই অনেক স্বচ্ছ প্রার্থী রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। তাঁদের চাকরি বিক্রি হয়েছে ক্ষমতাকে ব্যবহার যাঁরা বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। কারন ওই প্রার্থীরা বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়ার সুযোগ উপভোগ করছেন। সুপারিশপত্র না থাকা সত্ত্বেও ৫৭ জনকে গোপনে বেআইনি ভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে। ওই ৫৭ জনের চাকরি আদালত আগেই বাতল করেন। বিচারপতি বলেন, এটাই হল দুর্নীতির একটা পরিষ্কার ছবি। 

এদিকে যে অপেক্ষা তালিকা থেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় শূন্য পদ পূরণ করতে বলেছেন, অভিযোগ উঠেছে সেই তালিকার স্বচ্ছতা নিয়েও। এর আগে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুও এই সংক্রান্ত একটি মামলা প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, অপেক্ষা তালিকাও গঙ্গার মতো স্বচ্ছ নয়। এটা মাথায় রাখতে হবে। 

RELATED ARTICLES

Most Popular