কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: এক সপ্তাহের ছুটি নিলেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। বৃহস্পতিবার তিনি হাসপাতালের প্রশাসনিক দফতরে গিয়েছিলেন ছুটির দরখাস্ত জমা দিতে। কিন্তু রাখির ছুটি থাকায় অফিস বন্ধ ছিল। চন্দ্রনাথ জানান, তিনি শুক্রবার ফের যাবেন হাসপাতালে ছুটির দরখাস্ত দিতে।
হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুর নির্দেশে মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের একটি মেডিক্যাল টিম যায় বোলপুরের নিচুপট্টিতে অনুব্রতর বাড়িতে যায়। ওই টিমের নেতৃত্বে ছিলেন চন্দ্রনাথ। তিনি যেতে আপত্তি জানান। সুপারকে ওই ডাক্তারবাবু বলেছিলেন, ইডির ডাকাডাকি চলছে। এখন যাওয়া কি ঠিক হবে। সুপার তাঁকে বলেন, কোনও অসুবিধা নেই। এমনকী তিনি সাদা কাগজে প্রেসক্রিপশন লিখে দিতে বলেন। ওইদিন রাতে তিনি সংবাদ মাধ্যমে গোটা ঘটনা ফাঁস করে দেন। তিনি বলেন, মানুষের কাছে আমি খুব হেয় হয়ে গেলাম। চন্দ্রনাথ দাবি করেন, তাঁকে ১৪ দিনের বেড রেস্ট নেওয়ার কথা অনুব্রত লিখে দিতে বলেছিলেন। চাপে পড়েই তা লিখতে বাধ্য হন বলে তিনি জানান।
ওই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। চন্দ্রনাথ অনুব্রতর প্রভাবের কথা জানিয়ে বলেন, তিনি শাসকদলের জেলা সভাপতি। তাঁর অনুরোধ ফেলতে পারিনি। এরপর থেকেই তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করার কথা জানান। মানসিকভাবেও তিনি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেন, আমি বোলপুরেই থাকি পরিবার নিয়ে। নিজের জন্য ভাবি না। পরিবারের জন্য একটু আতঙ্ক তো আছেই। মানসিক বিপর্যয় কাটানোর জন্যই আপাতত সাতদিন তিনি ছুটি নিয়েছেন।