কলকাতা: দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) মতো প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েও (Presidency University) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র দেখানো নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল। শুক্রবার বিকেলে তা দেখানোর কথা ছিল। কিন্তু, আচমকা সেখানে বিদ্যুত চলে যাওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়। উদ্যোক্তা ছাত্র ছাত্রীরা দাবি করতে থাকেন, বিদ্যুৎ সংয়োগ কেটে দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে ছাত্র ছাত্রীরা ধরনায় বসে যান। পড়ুয়াদের দাবি, পরে যার জেরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যুৎ না থাকায় এসএফআইয়ের (SFI) পক্ষ থেকে ডিন অফ স্টুডেন্টের (Dean of Student) ঘরের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয় এদিন। তাঁরা অবস্থানে বসে যান। সেই সঙ্গে চলে স্লোগান।পড়ুয়া্রা দাবি করতে থাকেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ (University Authority) কেন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করল তার জবাব দিতে হবে। তাঁরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেন বিদ্যুৎ (Electricity) বিচ্ছিন্ন করল তার জবাব না পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে। কিন্তু, ওই অবস্থান বিক্ষোভ চলার মধ্যেই ছাত্র আন্দোলনের চাপে পড়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ করে দেয়। যার ফলে ওই তথ্য চিত্রটি আবার দেখানো শুরু হয়।
আরও পড়ুন: History Of Khelo India Youth Games: কী উদ্দেশে শুরু খেলো ইন্ডিয়া ইয়ুথ গেমস? জানতে পড়ুন
উল্লখ্য, ওই তথ্যচিত্রটি (Documentary) ইউটিউব (Youtube) থেকে ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট থেকে সরিয়ে দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। জরুরি ভিত্তিতে আইটি রুল প্রয়োগ করে তা বলা হয়। তবে জেনএইউ সহ কয়েকটি জায়গায় তা দেখানো হচ্ছে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও ওই তথ্যচিত্র দেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই তথ্যচিত্রে গুজরাতের (Gujarat) মুখ্যমন্ত্রী (CM) থাকাকালীন নরেন্দ্র মোদির প্রসঙ্গ তোলা হয়েছে। যা নিয়ে আপত্তি কেন্দ্রীয় সরকারের। কেন্দ্রের বক্তব্য, ওই ঘটনায় ক্লিনচিট পেয়েছেন মোদি। তথ্যচিত্রে যেভাবে দেখানো হয়েছে তা ঠিক নয়। এই বিষয়টি ব্রিটেনের পার্লামেন্টেও (Britain Parliament) ওঠে। সেখানে এই বিতর্ক থেকে সুকৌশলে নিজেকে সরিয়ে নেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক (Rishi Sunak)।