রাঁচি: ধুমধাম করে সরস্বতী পুজো (Saraswati puja) হল। পুজোর জন্য গ্রাম থেকে লোক নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপরেই সব শেষ। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে মৃত্যু হওয়া চিকিৎসক দম্পতির বাড়ি হুগলিতে নেমে এল শোকের ছায়া। গোঘাট থানার (Govghat PS) নকুণ্ডা গ্রামে (Nokunda Village) বাড়ি্ তাঁদের। অগ্নিকাণ্ডের (Fire Incident) ঘটনায় নকুন্ডা গ্রামের অন্য এক বাসিন্দাও নিখোঁজ। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ওই গ্রামের বাসিন্দা তারা সামুইও।
এদিন দিনের আলো ফুটতেই অগ্নিকাণ্ডের খবর চাউর হতে শুরু করে। চিকিৎসক দম্পতি ও অন্যদের বাড়ির সামনে ইতিউতি জটলা দেখা যায়। বেলা গড়াতেই সব স্পষ্ট হয়ে যায়। তারপরই শোনা যায় কান্নার রোল। ডাক্তার দম্পতি প্রতিবারই সরস্বতী পুজোর জোগাড়ের জন্য গ্রাম থেকে লোক নিয়ে যেতেন। সেই মতো এবারও গিয়েছিলেন কয়েকজন। আগুনে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় চিকিৎসক বিকাশ হাজরা ও তাঁর স্ত্রী শ্রেয়া হাজরা সহ ৫ জনের। দম্পতির গ্রামের বাড়ি নকুন্ডায় হলেও কর্মসূত্রে ধানবাদেই থাকতেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: Mamata-Anubrata: মুখ্যমন্ত্রীর বীরভূম জেলা সফরে থাকবে না অনুব্রতর ছবি
পরিচিতির সূত্রে ধানবাদে প্রতি বছর সরস্বতী পূজার জোগাড়ে যান গোঘাটের বেশ কয়েকজন। এবছরেও শম্ভু চরণ সিং, বাবলু সামুই ও সুনীল মন্ডল পুজার আগের দিন ধানবাদে যান। বাবলুবাবু গতকাল বাড়ি ফিরে যান।কিন্তু, বাকিরা সেখানেই থেকে যান। সেখানেই তারা সামুই আয়ার কাজ করতো। তার পর গতকাল রাতে হঠাৎ ওই আগুনের ঘটনা ঘটে্। সুনীল মন্ডল আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। তবে শম্ভুচরণ সিং-এর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে দাবি তাঁদের পরিবারের।
ডাক্তার দম্পতি খ্যাতি অর্জন করেছিলেন ধানবাদে। ওই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ঝাড়খণ্ডের বিশিষ্ট মানুষেরা। পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও।
কীভাবে ওই দুর্ঘটনা ঘটল খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে গিয়েছে্ন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। নামী ডাক্তারের এই মৃত্যুতে ধানবাদ শহর জুড়ে বিষাদের ছায়া্। তবে ঘটনায় ওই বেসরকারি হাসপাতালে থাকা কোনও রোগীর ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, হাসপাতালের স্টোর রুম থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তবে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছেন, আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।