কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার নিউ টাউনে তিনি বলেন, অভিষেকের মতো নেতা বাড়ির ল্যাবরেটরিতে তৈরি হয়। এদের দিয়ে সমাজের কিছু হবে না। পুলিশ, এনভিএফ, সিভিক পুলিশ দিয়ে জনসংযোগ যাত্রায় ভিড় বাড়াতে হচ্ছে। পার্টির লোক কিছু নেই। কিছু কাটমানিখোর, গুন্ডা বদমাইশ আছে। তাও কেউ রাস্তা আটকাচ্ছে, কেউ চোর বলছে।
শালবনিতে অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রীর যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওকে পাঠিয়েই বুঝে গিয়েছেন, ভাইপোর কতটা দম আছে। আর কতদিন ওকে কোলে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ওকে একটু রাস্তায় ছাড়ুন।
জঙ্গলমহলে জনসযোগ যাত্রা চলাকালিন একাধিক সভায় গত কয়েকদিনে দিলীপ ঘোষকে তোপ দেগেছেন অভিষেক। তিনি কুড়মি সমাজকে দিলীপ ঘোষের বাড়ি ঘেরাও করার পরামর্শ দেন। তাঁর অভিষোগ বিজেপি নেতা কুড়মি সমাজকে অপমান করেছেন। দিলীপ বলেন, কুড়মিরা তো আমার বাড়ি আগেই ঘেরাও করেছে। ওদের দলের এক নেতা তৃণমূলের কথায় ওঠাবসা করে। ওদের মধ্যে তৃণমূলের কিছু দালাল আছে। তৃণমূলের মদতেই খড়গপুরে কুড়মিরা আমার বাড়ি ঘেরাও করেছিল।
আরও পড়ুন: Abhishik Banerjee | SC | অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদে স্থগিতাদেশ নয় সুপ্রিম কোর্টের
এবার নোটবন্দি নয়, মোদিকে ভোটবন্দি করে দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে। অভিষেকের এই মন্তব্যের জবাবে দিলীপ বলেন, এরকম ডায়লগ গতবারের ভোটের সময়ও দিয়েছিল ওরা। এবারেও এত লোক এসে মমতার হাতে পায়ে ধরছে। বলছে আপনি আসুন, মোদির বিরুদ্ধে দাঁড়ান। উনি সাহস পাচ্ছেন না। কারণ উনি জানেন, মোদিজি যা করছেন, দেশের স্বার্থে করছেন। সাধারণ মানুষ খুব খুশি ২০০০ টাকার নোট বাতিলে। এই নোট বাজারে দেখা যায় না। কারও কারও বাড়িতে দেখা যায়। যেখানে ষেখানে লুকানো আছে, এবার সেগুলো বেরোবে। তাই মানুষ খুশি। যাদের ভয় আছে, ইলেকশনের টাকাটা জলে চলে গেল, তারাই প্রতিবাদ করছে।
বিরোধীদের নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন বয়কট প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কি রাষ্ট্রপতি ভোটে অংশ নিয়েছিলেন? কোন মুখে দ্বিচারিতা করেন? তৃণমূল উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন বয়কট করেছিল। আদিবাদীদের পাশে বিজেপি আছে। তৃণমূল এতদিন আদিবাসী খেপিয়ে ভোট নিয়েছে। আজ কুড়মিরা ওদের বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে। আদিবাসীরাও ওদের বিরুদ্ধে। মতুযারাও তৃণমূলকে পছন্দ করছে না। রাজবংশিরা তৃণমূলের উপর বিরক্ত। ১৯ টা রাজনৈতিক দলের কী শক্তি আছে? ওই সব দলের কটা সাংসদ আছে? অনেকের দলের তো সাংসদই নেই। আগামিদিনে ওদের পার্লামেন্টে ঢোকার লোক থাকবে না।