হায়দরাবাদ: ভারত রাষ্ট্র সমিতির (BRS) প্রথম সভাতেই বিরোধী দলগুলির নেতাদের একই মঞ্চে বসিয়ে অ-কংগ্রেসি দলের তারকার হাট বসিয়ে দিলেন তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (KCR)। বুধবার হায়দরাবাদের (Hyderabad) খাম্মামে তাঁর বিআরএসের সভায় হাজির ছিলেন আপ (AAP) প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান, কেরলের (Kerala) মুখ্যমন্ত্রী সিপিএমের পিনারাই বিজয়ন, সমাজবাদী পার্টির (SP) অখিলেশ যাদব, সিপিআইয়ের ডি রাজা প্রমুখ। জেডি (এস) নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী জাতীয় রাজনীতিতে কেসিআরের পাশে থাকলেও আজকের সভায় হাজির হতে পারেননি। কর্নাটকে পঞ্চরত্ন রথযাত্রায় থাকার জন্য তিনি এদিন আসতে পারেননি।
চার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হাজির থাকা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব বলেন, গতকাল বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক শেষ হয়েছে। তারা নিজেরাই বলেছে আর ৪০০ দিন বাকি রয়েছে। ঠিকই তাই, এই সরকার আর ৪০০ দিনই চলবে। ৪০০ দিন পর এই সরকার আর থাকবে না। প্রসঙ্গত, বিআরএসের এই সভা এমন সময় হল, যখন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা প্রায় শেষ পর্যায়ে।
আরও পড়ুন: Tripura Assembly Vote 2023: ত্রিপুরা জয়ে মরিয়া বিজেপি, বাংলার সাংসদ-বিধায়কসহ ৩৫ জনের দল পাঠাচ্ছে
মোট ২১টি অ-কংগ্রেসি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কেসিআর। এদিন যারা কেসিআরের সমাবেশে যোগ দিয়েছিল, তারা কেউই রাহুলের পদযাত্রায় অংশ নেয়নি। যদিও ত্রিপুরা বিধানসভায় জোটের লক্ষ্যে সিপিএম কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগেই সিপিএমের বিজয়ন দেশে অ-কংগ্রেসি, অ-বিজেপি সরকার গঠনের আওয়াজ তুলেছিলেন। এই অবস্থায় কেসিআরের এই প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা সময়ই বলবে।
প্রসঙ্গত, এদিনই ভারতের নির্বাচন কমিশন উত্তর-পূর্ব ভারতের তিন পার্বত্য রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডের ভোটের দিন ঘোষণা করেছে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে ভোটগ্রহণ হবে। ফল ঘোষণা ২ মার্চ।
এদিনই মেঘালয়ে গিয়ে ভোটের দামামা বাজিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মত হচ্ছে, ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে এবছরই দেশের মোট ৯ রাজ্যে ভোট রয়েছে। বিজেপির কাছে পাখির চোখ হচ্ছে এই বিধানসভা নির্বাচনগুলি। কারণ, সেমিফাইনালে যদি খারাপ ফল হয়, তাহলে ফাইনালে বিজেপির মুখ পুড়বে তা বলাই যায়।