ইসলামাবাদ: শুক্রবার ফের কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে পেশ করা হল পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। এদিকে, পাকিস্তানের সন্ত্রাস দমন আদালতে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন পেলেন ইমরান। রামনা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোয় মদত দেওয়ার অভিযোগ ছিল। আদালতের বাইরে যে দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়েছে, তাতে তাঁকে অভিযুক্ত করে আরও দুটি মামলা ঝুলছে। গোরলা থানায় সেই দুটি মামলা রয়েছে। এদিনই হাইকোর্টে ইমরান ও তাঁর আইনজীবীরা তাঁর বিরুদ্ধে ১২১টি মামলাকে একত্রিত করে শুনানির আর্জি জানান। কিন্তু, ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো তাতে আপত্তি জানিয়েছে আদালতে।
সুপ্রিম কোর্ট ইমরানের গ্রেফতারিকে অবৈধ এবং বেআইনি বলার পরদিন শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজিরা ছিল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা ইমরানের। এদিন কড়া নিরাপত্তায় তাঁকে যখন পেশ করা হয়, তখনও দলের সমর্থকদের সঙ্গে আদালতের বাইরে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। ব্যাপক চিৎকার, চেঁচামেচি, ধস্তাধস্তির মধ্যে দিয়ে ইমরানকে আদালতে ঢোকানো হয়। শুনানি শুরুর কিছুক্ষণ পরেই নমাজ পাঠের জন্য আদালতের কাজ বন্ধ থাকে। দুপুর আড়াইটের সময় ফের আদালতের কাজ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: Sukanya Mondal | আগামী দুমাস তিহার জেলেই থাকতে হচ্ছে সুকন্যাকে
ইমরানের গ্রেফতারি নিয়ে এদিনই পাকিস্তান ক্যাবিনেট জরুরি এক বৈঠকে বসে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে গ্রেফতার পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। এদিকে, পাক পঞ্জাবের ডিআইজি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে এসে পৌঁছেছেন। অন্তত ১০টি মামলায় তিনি ইমরান খানকে গ্রেফতার করতে পারেন। তাঁর কাছে ইমরানকে গ্রেফতারির পরোয়ানা আছে বলে জানান তিনি। গত ৯ মে যে হাঙ্গামা হয়েছিল তার ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে পঞ্জাব পুলিশ।
ইমরানকে নিয়ে পুলিশ এতটাই শশব্যস্ত যে এদিন এজলাসে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। প্রাক্তন পাক অলরাউন্ডার ফের তাঁকে গ্রেফতারের ছক কষার উদ্বেগ প্রকাশ করেন আদালতে ঢোকার সময়। অন্যদিকে, খাইবার পাখতুনখোয়ায় পিটিআই নেতাদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। যে নেতাদের বাড়িতে মিলছে না, তাঁদের পরিবারের লোকজনদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।