নয়াদিল্লি: শিন্ডে ও উদ্ধব শিবিরের মধ্যে লড়াই আবারও জমে উঠেছে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পর্যবেক্ষণ সামনে আসে।তারপর থেকেই শোরগোল পড়ে যায়। শুক্রবারও একই পরিস্থিতি বজায় থাকল। প্রতিপক্ষ শিন্ডে শিবির ও বিজেপিকে (BJP) চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে উদ্ধব জানান, তাঁদের প্রতিপক্ষ নির্বাচনে যেতে ভয় পাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘সকলে নতুন করে নির্বাচনে অবতীর্ণ হই। জনতা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিক। আমি যেমন মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলাম একনাথ শিন্ডের উচিত নৈতিকতার বিচারে ইস্তফা দেওয়া।’
শিন্ডে-সহ ১৫ জন বিধায়কদের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়েও সরব হয়েছেন উদ্ধব। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা আগেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলাম। যদি স্পিকার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনও সিদ্ধান্ত না নেন তাহলে আমরা আবার সুপ্রিম কোর্টে যাব। এখন স্পিকার বিদেশে রয়েছেন। যখন তিনি ফিরে আসবেন, তাঁকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, দেশের শীর্ষ আদালতের বৃহত্তর বেঞ্চ এ নিয়ে রায় না দেওয়া অবধি ক্ষমতা স্পিকার হাতেই থাকবে। শিন্ডে-সহ ১৫ জন বিদ্রোহী বিধায়কের পদ তাঁরা খারিজ করতে পারেননা। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে সরকার বদলের সময় মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল বিএস কোশিয়ারির ভূমিকায় ভুল ছিল বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট।
বৃহস্পতিবার রায়ের পরপরই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে ফড়নবিশ বলেন, ইস্তফার কোনও প্রশ্নই নেই। মহারাষ্ট্র সরকার সাংবিধানিক এবং আইনি। যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ঠাকরে বলেছেন তিনি নৈতিক কারণে ইস্তফা দিয়েছেন। আমি যদি তাঁকে প্রশ্ন করি, আপনার এই নীতি-নৈতিকতা কোথায় ছিল যখন আপনি বিজেপির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে কংগ্রেস এবং এনসিপি-র হাত ধরেছিলেন? শিন্ডে বলেন, সত্যের জয় হয়েছে। আমাদের সরকারকে অসাংবিধানিক ও অবৈধ বলে উদ্ধব ঠাকরে আত্মতুষ্টি পেতে চাইছেন। যেখানে সর্বোচ্চ আদালত যাবতীয় সংশয় মুক্ত করে দিয়েছে। ফড়নবিশেরও দাবি, উদ্ধব ভয় পেয়েছিলেন। তাই ইস্তফা দিয়েছিলেন। নৈতিকতার কোনও বিষয় নয়, উনি জানতেন তাঁর আর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। এই জয়কে তিনি গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জয় বলে ব্যাখ্যা করেন।