৫ সঙ্গিনী ও দুই ভাইসহ তিন পুরুষ আফ্রিকান চিতাকে শনিবার জঙ্গলে ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৭ সেপ্টেম্বর মোদির ৭২-তম জন্মদিন উপলক্ষে এখন দেশজুড়ে সাজসাজ রব। বিজেপি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। উপহার, শুভেচ্ছা জানানোর নানান আয়োজন চলছে দেশজুড়ে। তারই মধ্যে শনিবার মধ্যপ্রদেশের কুনো জঙ্গলে নামিবিয়া থেকে আনা ৮টি চিতাকে জঙ্গলে ছাড়বেন বার্থ ডে বয়। ভারতে বিলুপ্ত এশীয় প্রজাতির চিতার জায়গায় আফ্রিকান চিতা নিয়ে আসার এই কর্মকাণ্ডের নাম দেওয়া হয়েছে প্রজেক্ট চিতা।
শুক্রবার ৮টি চিতা আসছে একটি বিশেষ বিমানে। প্রচারের ঢক্কানিনাদে বিশ্বাসী মোদি সরকার বিমানটির মুখটিকে একটি চিতার মুখের মোড়কে ঢেকেছে। এখন প্রহর গোনা চলছে নামিবিয়া থেকে আসা চিতার ভারত দর্শনের। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রজেক্ট চিতা হল বিশ্বের প্রথম বৃহৎ আন্তঃমহাদেশীয় মাংসাশী বন্যপ্রাণ হস্তান্তর প্রকল্প। এর আগে বিশ্বের কোনও দেশ এতবড় প্রকল্প নেয়নি।
আরও পড়ুন: PM Modi’s birthday: জগন্নাথদেবের পর মোদি, ৫৬ ভোগের আয়োজন ৫৬ ইঞ্চি ছাতির জন্মদিনে, খেলেই সাড়ে ৮ লাখ
১৯৫২ সালে ভারতে চিতা বিলুপ্ত হয়ে যায়। তারপর থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদির আন্তরিক ইচ্ছা ছিল চিতাকে ভারতের পরিবেশে ফিরিয়ে আনা। এই উদ্দেশ্যে নামিবিয়ার সঙ্গে এ বছরের গোড়ায় একটি মউ স্বাক্ষরিত হয়। শনিবার বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে চিতাগুলিকে ছাড়বেন মোদি।
বোয়িং জাম্বো জেট ৭৪৭ বিশেষ বিমানে চড়ে আসছে চিতাগুলি। প্রায় ১৬ ঘণ্টা আকাশপথ পাড়ি দিয়ে বিমানটি জয়পুরে নামবে। বিমানের ভিতরে চিতা রাখার সব রকম ব্যবস্থা রয়েছে। শনিবার সকালে পৃথিবীর দ্রুতগামী পশু চিতাগুলিকে জয়পুর থেকে কুনো জাতীয় উদ্যানে বিমানে নিয়ে আসা হবে। শেওপুর জেলায় আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের প্রায় ৩-৪ ঘণ্টা আগেই তারা হাজির হয়ে যাবে কুনোয়। এরজন্য কুনোর জঙ্গলে ১০ ফুট উঁচু একটি মঞ্চ বাঁধা হয়েছে।
এই মঞ্চেরই নীচে খাঁচায় রাখা থাকবে চিতাগুলিকে। প্রধানমন্ত্রী খাঁচার দরজা খুলে দিলেই চিতার দল ভারতের স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যাবে। এদেশের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে নতুন অতিথিদের জন্য একটি বিশেষ এনক্লোজার তৈরি করেছে মধ্যপ্রদেশ বন দফতর। সেখানে মাসখানেক রাখার পর ধাতস্থ হয়ে এলে তাদের আরও একটু বড় এনক্লোজারে ছাড়া হবে। সেখানে তাদের অস্থায়ী ঠিকানা হবে মাস তিনেকের। অবশেষে ৭৪৮ বর্গকিমির জঙ্গলে পাকাপাকিভাবে স্বাধীন বিচরণ করবে আফ্রিকান চিতারা।