নয়াদিল্লি: মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের (Chief Election Commissioner and Elections Commissioners) নিয়োগে আমূল পরিবর্তন আনল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বৃহস্পতিবার সিইসি এবং ইসিদের নিয়োগে একটি প্যানেল গঠন করল শীর্ষ আদালত। প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister), লোকসভার বিরোধী দলনেতা (LoP) এবং ভারতের প্রধান বিচারপতিকে (CJI) নিয়ে গঠিত একটি কমিটি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য দুই নির্বাচন কমিশনারের নাম রাষ্ট্রপতির (President of India) কাছে সুপারিশ করবে। রাষ্ট্রপতি সেই অনুমোদন করে নিয়োগ সম্পূর্ণ করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি কেএম জোসেফের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ (Five Judge Constitution Bench) সর্বসম্মতিক্রমে এই রায় দেয়। সংসদে এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত এই পদ্ধতিই সঠিক বলে বিবেচনা করেছে বেঞ্চ। সর্বোচ্চ আদালত এও জানিয়েছে, লোকসভায় যদি কোনও বিরোধী দলনেতা না থাকেন, তাহলে যিনি একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা তিনি এই কমিটিতে থাকবেন।
আরও পড়ুন: Adani Groups: আদানি-কাণ্ডে সেবির তদন্তেই আস্থা সুপ্রিম কোর্টের
নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ তিন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কলেজিয়ামের মতো কোনও প্যানেল গঠনের একগুচ্ছ দাবি-আর্জি নিয়ে এদিন রায় জানাল সুপ্রিম কোর্ট। সাংবিধানিক বেঞ্চে বিচারপতি কেএম জোসেফ ছাড়াও অজয় রাস্তোগি, অনিরুদ্ধ বসু, হৃষীকেশ রায় এবং সিটি রবিকুমাররা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার উপর জোর দেন। সর্বোচ্চ আদালত রায়ে বলেছে, গণতন্ত্রে নির্বাচন প্রক্রিয়া নিঃসন্দেহে স্বচ্ছ হওয়া প্রয়োজন। নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কমিশন তার দায় এড়াতে পারে না। গণতান্ত্রিক কাঠামোয় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে তা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
বেঞ্চ আরও বলেছে, সাংবিধানিক কাঠামো ও আইনের মধ্যে থেকেই নির্বাচন কমিশনকে কাজ করতে হবে। অস্বচ্ছ পদ্ধতিতে তারা কাজ করতে পারে না। যদি কোনও নির্বাচন কমিশন অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট করাতে না পারে, আইনের শাসন যদি বিঘ্নিত হয় তাহলে বুঝতে হবে তা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। বেঞ্চের মন্তব্য, গণতন্ত্র হল ভঙ্গুর। যদি আইনের শাসনে কেউ আন্তরিকতাহীন কাজ করে যায় তাহলে গণতন্ত্র ভেঙে পড়তে বাধ্য।