পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) তৃণমূল (TMC), বিজেপি (BJP) বাদে সবাইকে নিয়ে জোট গড়ার ইঙ্গিত দিল সিপিএম (CPM)। সোমবার মালদহে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Mohammed Salim) বলেন, আমরা ওই দুই দলকে বাদ দিয়ে সবাইকে একত্র করার চেষ্টা করছি। তাহলে কি পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী জোট হবে, প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সেটা দেখা যাবে। এখনও কোনও আলোচনা হয়নি। পঞ্চায়েত ভোট যখন হবে, তখন আমরা আলোচনা করব।
সম্প্রতি কয়েকটি জেলায় স্কুল, মাদ্রাসা, সমবায় নির্বাচনে কোথাও বাম-বিজেপি, কোথাও আবার বাম-কংগ্রেস একসঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করেছে। মালদহে কোনও কোনও মাদ্রাসায় বাম এবং কংগ্রেস একসঙ্গে লড়াই করে জিতেছে। সেলিম বলেন, স্কুল, মাদ্রাসা, সমবায়ে রাজনৈতিক দলগুলি প্রতীক নিয়ে লড়াই করে না। তবে এটা ঠিক, এখানে কিছু মাদ্রাসায় বামেরা এবং কংগ্রেস একত্রে লড়াই করে জয় পেয়েছে। একসঙ্গে প্রচার করা হয়েছে। মানুষের আশীর্বাদও মিলেছে।
আরও পড়ুন: Karnataka teacher: বেলচা দিয়ে পিটিয়ে দোতলা থেকে ছাত্রকে ছুড়ে ফেললেন শিক্ষক, মৃত্যু ১০ বছরের বালকের
মালদহে দলের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফের দুদিনব্যাপী কর্মশালা হয়। তার প্রকাশ্য সমাবেশে ভাষণ দেন মহম্মদ সেলিম, ডিওয়াইএফের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। প্রকাশ্য সমাবেশে এবং সাংবাদিকদের ঘরোয়া কথা চলাকালীন সেলিম বলেন, তৃণমূল আর বিজেপি একই মুদ্রার দুই পিঠ। তৃণমূলই এ রাজ্যে বিজেপিকে নিয়ে এসেছে। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে তৃণমূল আর দুর্নীতি (TMC and Corruption) সমার্থক হয়ে গিয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পঞ্চায়েতে শুধুই চুরি আর চুরি। পুলিশ সেই চুরি ঠেকাতে কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না। তাই আমরা চোর ধরো, জেল ভরোর ডাক দিয়েছি। পুলিশ যদি চোর ধরতে না পারে, তাহলে মানুষ ধরবে। তারপর মানুষ যা করার করবে।
সিপিএমের অভিযোগ, এদিনের সভায় না যাওয়ার জন্য তৃণমূল বাড়ি বাড়ি হুমকি দিয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, সেই হুমকি উপেক্ষা করে মানুষ আজ মাঠ ভরিয়ে দিয়েছে। মানুষের ভয় ভাঙছে। তাই আমাদের সভায় ভিড় হচ্ছে। আমাদের কর্মসূচিতে লোক আসছে। গত পঞ্চায়েতে তৃণমূল ভোট লুট করেছিল। এবার তাই ভোটের আগেই আমরা লুঠেরাদের ধরার ডাক দিয়েছি। তারপর পঞ্চায়েত ভোট আমরা বুঝে নেব।