কলকাতা: তাঁর দুটি পাসপোর্ট (passport) থাকার কথা অস্বীকার করলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি (ex president of West Bengal Primary Education) মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। মঙ্গলবার নগর দায়রা আদালতে মানিক (Manik Bhattacharya) বলেন, আমার দুটো পাসপোর্ট আছে, প্রমাণ হলে ফাঁসি দেওয়া হোক। একটা পাসপোর্টের পাতা শেষ হয়ে গেল রিনিউয়ের (renew) পর নতুন বই দেওয়া হয়। দু’টো বই একসঙ্গে ছিল। সিবিআই (CBI) সেটা দেখে বলে দিল, আমার নাকি দু’টি পাসপোর্ট আছে। একই সঙ্গে মানিক বলেন, আমার লন্ডনে (LONDON) বাড়ি আছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। এই ভাবে আমার সম্মানহানি করা হচ্ছে।
এদিন বিচারক (Judge) এজলাস ছেড়ে চলে যাওয়ার পর মানিক এই সব বলে চেঁচাতে থাকেন। তিনি সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে হাতজোড় করে বলেন, এইভাবে আমার সম্মানহানি করবেন না। এজলাসের ভিতর মানিক চেঁচামেচি করছেন বলে বিচারকের কাছে খবর যায়। তিনি দ্রুত মানিককে এজলাস থেকে বার করে নিয়ে যেতে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: Victoria Gowri Sworn In As Judge: বিচারপতি হিসেবে শপথ গৌরীর, আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
কিছুদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta HighCourt) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসে সিবিআই (CBI) জানায়, তারা মানিকের দু’টি বৈধ পাসপোর্টের খোঁজ পেয়েছে। তা শুনে বিচারপতি বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি সিবিআই আইনজীবীকে বলেন, মানিক ভট্টাচার্য কতবার বিদেশে গিয়েছেন, তার খোঁজ নিয়েছেন কখনও? লন্ডনে মানিকের বাড়ি আছে। তার পাশে বাংলার এক রাজনীতিকের বাড়ি আছে, আমি তাও জানি। আপনারা জানেন কিছু?
এদিন ভরা এজলাসে মানিক সব কিছুই অস্বীকার করে বলেন, পরে যখন এগুলি প্রমাণ হবে না, তখন আমার সম্মান ফিরিয়ে দিতে পারবেন তো? মানিকের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত বলেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত আর শেষ হচ্ছে না। সারদার মতোই হাল হবে এই তদন্তের। তদন্ত যখন শেষ হবে, তখন এঁরা (ধৃতরা) আর থাকবেন না। আমার মক্কেল তদন্তে সাহায্য করেছেন। ইডি অফিসে নিয়মিত হাজিরা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Apsara Iyer: হার্ভার্ড ল রিভিউয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত অপ্সরা আইয়র
আইনজীবী বলেন, সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই বলছে, মানিক ভট্টাচার্য তদন্তে সহযোগিতা করেছেন। আর ইডি বলছে, তিনি সহোগিতা করছেন না। তদন্তে কখনও রাজনৈতিক দলের বিষয় আসতে পারে না। রাজনীতিকে যদি মামলায় গুরুত্ব দেওয়া হয়, তবে তো আমার মক্কেল কোনও দিনই জামিন পাবেন না। মামলার পরবর্তী শুনানি বুধবার।
এদিকে নগর দায়রা আদালত এদিন জানিয়ে দিল, মানিকের স্ত্রী শতরূপা, ছেলে সৌভিক এবং মানিকের ঘনিষ্ঠ শিক্ষা ব্যবসায়ী তাপস মণ্ডলের জামিনের আবেদনের শুনানি হবে ২২ ফেব্রুয়ারি। এই তিন আবেদনকারী ইডির হলফনামার জবাব দেবেন। তাই শুনানি পিছিয়ে দিল আদালত।