দুই তরুণী সমকামী। এটাই তাঁদের অপরাধ। সেই অভিযোগে তাঁদের উপর চলল নৃশংস অত্যাচার। তিনজন মিলে তাঁদের গোপনাঙ্গে গরম রডের ছেঁকা দেয় বলে অভিযোগ। তরুণীদের ধর্ষণেরও চেষ্টা করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বাকি দুজন পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা হল সাহেব শেখ, কদম মোল্লা এবং সমজের শেখ। ঘটনা মুর্শিদাবাদের।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনা ২৫ অক্টোবর রাতের। ওই দুই তরুণী একটি ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। ওই তিনজন জোর করে তাঁদের ঘরে ঢুকে পড়ে। সম্মতি ছাড়াই তাঁদের ছবি তোলা হয় ঘুমন্ত অবস্থায়। পরে তাঁদের বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়, ধর্ষণেরও চেষ্টা হয়। শেষে গোপনাঙ্গে গরম রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। দুজনেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাদ্রাসার প্রশ্নে দশটি ভুল, খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠনের নির্দেশ আদালতের
দুই তরুণীকে এ সব কথা বাইরে বলতে নিষেধ করে দেয় অভিযুক্তরা। সেই হুমকির ভয়ে দুদিন দুই পরিবার কাউকে কিছু জানায়নি। অবশেষে ২৮ অক্টোবর সাহস করে থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। এক তরুণীর ৬৫ বছরের বৃদ্ধা ঠাকুমা থানায় অভিযোগ করেন। তিনি এর শেষ দেখতে চান। অভিযুক্তদের যথাযথ শাস্তির দাবি তুলেছেন ওই বৃদ্ধা। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন এক তরুণীর আত্মীয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তরুণীদের বয়ান নেওয়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে।
২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, সমকামিতা কোনও অপরাধ নয়। তা এক ঐতিহাসিক রায় বলে মনে করেন সমকামীরা। তারপরেও সমকামিতার অভিযোগে দুই তরুণীর উপর কী করে এ ধরনের অত্যাচার চলে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনাটি সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। তা নিয়ে জেলায় আলোড়ন পড়েছে। এখানেও স্কুল সার্ভিস কমিশনের মতো কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসবে।