কলকাতা: এবার করোনা হানা দিল সিবিআই (CBI) দফতরে৷ বুধবার নিজাম প্যালেস (Nizam Palace) ও সল্টলেকের সিজিও (Saltlake CGO) কমপ্লেক্স সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে ১৩ জন সিবিআই অফিসার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সিবিআইয়ের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি, চিটফান্ড তদন্ত ও দুর্নীতিদমন শাখার অফিসাররাও আছেন। তাই, বর্তমান পরিস্থিতিতে ৪০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কলকাতা পুলিসেও (Kolkata Police) করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ সব মিলিয়ে প্রায় ১১৮ জন পুলিস আধিকারিক-কর্মী করোনা আক্রান্ত৷ আক্রান্তরা হোম আইসোলেশনে আছেন৷ সিবিআইয়ের দুটি অফিসই স্যানিটাইজ (Sanitize) করা হচ্ছে। কলকাতা পুলিসেও গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন ভবন, অফিস স্যানিটাইজ করা হচ্ছে৷
রাজ্যে উৎসবের মরশুম শেষ হতেই হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কলকাতা পুলিসেও (Kolkata Police) ক্রমশ চওড়া হচ্ছে করোনার থাবা। কলকাতা পুলিসে এই মুহূর্তে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১৮ জন। তার মধ্যে ৯ জন আইপিএস অফিসার। বুধবার সকালে করোনা আক্রান্তের খবর মেলে জয়েন্ট সিপি এসটিএফ ভি সোলোমান নেশাকুমারের৷ আক্রান্তদের মধ্যে ২৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ বাকিরা হোম আইসোলেশনে৷
মঙ্গলবার তিন আইপিএসের করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। ডিসি ডিডি স্পেশাল, ডিসি পোর্ট, ডিসি ফোর্থ ব্যাটেলিয়ানের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। লালবাজার সূত্রে খবর, আক্রান্তদের মধ্যে থানা এবং বিভিন্ন ট্রাফিক গার্ডে কর্মরত পুলিসকর্মীর সংখ্যাই বেশি। একসঙ্গে এতজন অফিসার ও কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগে লালবাজার। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য বিভিন্ন থানা এবং ট্রাফিক গার্ডের কাছে নির্দেশ পাঠিয়েছেন কলকাতার নতুন নগরপাল বিনীত গোয়েল। আশার খবর হল, অধিকাংশ পুলিসকর্মীর সংক্রমণের মাত্রা মৃদু। প্রায় সকলেই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
এখনও পর্যন্ত ৯ আইপিএস কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ডিসি ডিডি স্পেশাল, ডিসি ফোর্থ ব্যাটেলিয়ান দ্বিতীয়বার কোভিড আক্রান্ত হলেন। জয়েন্ট সিপি ক্রাইম এই নিয়ে তিনবার কোভিডের কবলে পড়লেন। এছাড়া অ্যাডিশনাল সিপি-২, জয়েন্ট সিপি ট্রাফিক, ডিসি পোর্ট, ডিসি সাউথ, ডিসি ট্রাফিক সাউথের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। স্বস্তির খবর এটাই যে এখনও কারোর ওমিক্রন আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলেনি।
আরও পড়ুন: Covid-19 Third Wave: কলকাতার ৫ মেডিক্যালে করোনা আক্রান্ত ৩৭৯, হস্টেল খালির নির্দেশ
বড়দিন ও বর্ষশেষ উপলক্ষে কলকাতার রাস্তায় প্রচুর পুলিস মোতায়েন করা হয়েছিল৷ অনুমান, ডিউটি করতে গিয়েই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সকলে৷ এদিকে রাজ্যে ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণের মধ্যে ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে৷ সূত্রের খবর, পুলিসকর্মীরা ওমিক্রনে আক্রান্ত কি না জানতে তাঁদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং-এ পাঠানো হতে পারে৷ তবে সেই রিপোর্ট পেতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে৷