শুক্লা চতুর্দশীর তিথিতে মা তারার আবির্ভাব হয়েছিল। সেই তিথি মেনেই আজ মা তারার বিগ্রহ মূল মন্দির থেকে বের করে মন্দিরের সামনে নাট মন্দিরে পশ্চিমের দিকে মুখ করে মা তারাকে বসানো হয় । সারাদিন সেখানে থাকার পর সন্ধ্যায় ফের মা তারাকে মূল মন্দিরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর শুরু হয় মায়ের স্নানপর্ব। স্নানপর্বের শেষে মা তারাকে সাজানো হয় রাজ-রাজেশ্বরী সাজে। এরপর শুরু হয় মঙ্গল আরতি! সকালে মঙ্গলারতির মা তারাকে ভোগ দেওয়া হয়।
কথিত আছে, দ্বারকা নদ দিয়ে বানিজ্য করতে যাওয়ার সময় একদা চন্ডিপুরে নোঙর ফেলেছিলেন বণিক জয় দত্ত। সেই সময় সাপের কামড়ে তার পুত্রের মৃত্যু হয়। এদিকে বণিকের ভৃত্যরা রান্না করার জন্য একটি কাটা শোল মাছ পুকুরের জলে ধুতে গিয়ে দেখেন মাছটি জীবিত হয়ে জলে চলে যায়। বিষয়টি বণিককে জানালে বণিক তার মৃত ছেলেকে সেই পুকুরের জলে স্নান করান। তখন তার মৃত ছেলে জীবিত হয়ে ওঠেন এবং জয় তারা, জয় তারা ধ্বনি উচ্চারণ করতে থাকে। অলৌকিক এই ঘটনার রাতেই স্বপ্নে মা তারার দর্শন পান বণিক জয় দত্ত। সেই দিন ছিল শুক্লা চতুর্দশী। সেই দিনই তিনি চন্ডিপুর, বর্তমানে তারাপীঠে মা তারার পুজো শুরু করেন। এর পর থেকেই শুক্লা চতুর্দশীর দিনটিকে মা তারার আবির্ভাব দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ।
মা তারার আর্বিভাব দিবস উপলক্ষ্যে পুণ্যার্থীদের ঢল নেমেছে তারাপীঠে। বছরের এই একটি দিন সাধারণ মানুষ মা তারাকে স্পর্শ করে পুজো দিতে পারেন ।