নয়াদিল্লি: ফের বিতর্ক সিলেবাসে। এবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস কমিটি বিআর আম্বেদকরের (Dr Ambedkar) হিন্দু সামাজিক ব্যবস্থা এবং হিন্দু নারীর উত্থান ও পতন নিয়ে লেখা দুটি অধ্যায়ের শিরোনাম থেকে হিন্দু শব্দ বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত কতটা বাস্তবায়িত হয়, তা শুক্রবারই অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে জানা যাবে।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী সিলেবাস কমিটির এই পরামর্শটি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের কমিটি অব কোর্সের কাছে পাঠানো হয়েছে। কোর্স কমিটি যা সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে এ বিষয়ে অধ্যায়ন করছে বর্ণ, জাতি, শ্রেণি, বর্ণ এবং লিঙ্গের মতো ভারতীয় ইতিহাসের মূল বিষয়গুলিকে স্পর্শ করেছে। বিভিন্ন কলেজের বিভাগীয় শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত সিলেবাস কমিটি আম্বেদকর অন কাস্ট অ্যান্ড ক্রিটিক অন হিন্দু সোশ্যাল অর্ডার এবং রাইজ অ্যান্ড ফল অফ হিন্দু ওম্যান অধ্য়ায় থেকে হিন্দু শব্দ বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কয়েকদিন আগে অধ্যাপক এন সুকুমার হিন্দু শব্দ বাদ দেওয়ার প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেন। তাঁর বলেন, আম্বেদকরের মূল লেখায় হিন্দু সমাজ ব্যবস্থার বিশ্লেষণ ছিল। হিন্দু সমাজের প্রেক্ষাপটে লেখা হয়েছে মূল কাহিনি। তাই কোনওভাবেই হিন্দু শব্দ বাদ দেওয়া যায় না। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শুক্রবার অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে হবে। উল্লেখ্য, মোদি সরকারের সময়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় অসম সামাজিক ব্যবস্থা সহ জাতিগত অত্যাচারের বিষয়গুলি পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দিয়েছে। এমনকী বিএ ইংরেজি অনার্স পাঠ্যক্রম থেকেও মহেশ্বতা দেবীর দ্রৌপদী নামে ছোটগল্প এবং দলিত লেখক বামা এবং শুকার্থরিণীর আত্মজীবনী রচনাগুলিও বাদ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শিক্ষকমহল সরব হয়েছিলেন।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের প্রাক্তন সদস্য আভা দেব হাবিব মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা হচ্ছে। সরকার তরুণ প্রজন্মকে অসম সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে দূরে রাখতে চাইছে।