কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলির উপর শাসক দলের নিয়ন্ত্রণ বাড়াচ্ছে চীন। সম্প্রতি ব্রোকারেজ সংস্থা এইচ-এস-বি-সি হোল্ডিং পিএলসি-র চীনা শাখায় কমিউনিস্ট দলের কমিটি গঠন করা হয়েছে। খবরটি অস্বীকার করেনি ব্রোকারেজ সংস্থাটি। সংস্থার চীনা শাখায় কোম্পানির অংশীদারি বাড়াবার পরেই চীনা কমিউনিস্টা দলের এহেন তৎপরতা বাণিজ্য মহলের দৃষ্টি কেড়েছে।
ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশ নয় চীন। নামে গণপ্রজাতন্ত্রী হলেও চীনে কার্যত একটিই দল আছে, সেটি চীনা কমিউনিস্ট পার্টি। এই দলটিই সরকার চালায়, সমস্ত স্থানীয় প্রশাসনের পরিচালক তারাই। কেবল তাই নয়, বাণিজ্যিক সংস্থাগুলিরও দেখভাল করে ওই দলই। চীন দেশের সরকার নিয়ন্ত্রিত ব্যাণিজ্যিক সংস্থাগুলি পুরোপুরি কমিউনিস্ট দলের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও অন্য দেশে সদর দপ্তর, এমন বহুজাতিক সংস্থাগুলিতে দলের নিয়ন্ত্রণ ততটা কড়া ভাবে প্রয়োগ করা হয়নি এতদিন। কিন্তু ইদানীং সেই নীতিতে পরিবর্তন ঘটিয়ে বহুজাতিক সংস্থাগুলিতেও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কমিটি গড়া শুরু হয়েছে।
এইচ-এস-বি-সি ইউরোপের সবথেকে বড় ব্যাঙ্ক। সংস্থার শাখা রয়েছে নানা দেশে। চীনে এইচ-এস-বি-সি হোল্ডিং পিএলসি-র ব্রোকারেজ শাখা বিশাল পুঁজি নিয়ে কাজ করে। সম্প্রতি সংস্থাটি চীনা শাখায় অংশীদারি ৫১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করেছে। একটি চীনা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা থেকে শেয়ার কিনেই এই শেয়ার বাড়িয়েছে এইচ-এস-বি-সি। ঠিক তার পরেই সংস্থাটির চীনা শাখায় কমিটি গড়েছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ সম্ভবত দীর্ঘ হতে চলেছে। শুরু হচ্ছে বিশ্ব রাজনীতির নয়া অধ্যায়। পাল্টাবে অনেক পরিচিত ব্যবস্থা। বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণেও পরিবর্তন আসছে। আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়ার নিষেধাজ্ঞার মোকাবিলায় রাশিয়াও নানা পদক্ষেপ করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নানা কারণে বিরক্ত চীনও রাজনৈতিক, সামাজিক এবং আর্থিক ক্ষেত্রে নতুন নতুন পদক্ষেপ করছে। এইচ-এস-বি-সি হোল্ডিং পিএলসি-র চীনা শাখায় কমিউনিস্ট দলের শাখা গড়া এই নয়া বাস্তবতার প্রতিফলন কি-না, উঠছে সে প্রশ্নও।