কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: রামবন সুড়ঙ্গ ধস এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় নতুন করে ভূমিধসের কারণে আটকে পড়ে উদ্ধার কাজে জড়িত কর্মীরা। আইটিবিপির তরফে কর্মীদের নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃষ্টি ও ঘন ঘন পাথর ছিটকে আসার কারণে উদ্ধার অভিযান এখনও বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি ঠিক হলে আবারও নতুন করে উদ্ধার কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে আইটিবিপি।
উল্লেখ্য়, জম্মু-কাশ্মীরে সুড়ঙ্গ ধসে পশ্চিমবঙ্গের ৫ বাসিন্দা-সহ ১০ জন আটকে পড়ে। রাজ্যের যে ৫ জন শ্রমিক দুর্ঘটনায় পড়েছেন তাঁরা সকলেই ধূপগুড়ির বাসিন্দা। তাঁদের নাম যাদব রায় (২৩), গৌতম রায় (২২), সুধীর রায় (৩১), দীপক রায় (৩৩) ও পরিমল রায় (৩৮)। বৃহস্পতিবার রাতে এই দুর্ঘটনার পরই উদ্ধারকার্য চলছে। তবে সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনও যাঁরা আটকে রয়েছেন, তাঁদের বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
নির্মীয়মাণ চার লেনের জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ চলছে বহুদিন ধরেই। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রামবন জেলা খুনিনালা এলাকায়। শুক্রবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ব্যক্তিদের জীবিত থাকার সম্ভাবনা কম। চারদিকে ছড়িয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ তাড়াতাড়ি সরানো সম্ভব নয়। উদ্ধারকার্যে সেনা নামানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৪-৫ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: Monkeypox India: মাঙ্কিপক্সের পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখার নির্দেশ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের
উদ্ধারকাজে তদারকি করছেন রামবনের ডেপুটি কমিশনার মাস্সারাতুল ইসলাম এবং পুলিস সুপার মোহিত শর্মা। সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত সওয়া ১০টা নাগাদ ৩ নম্বর সুড়ঙ্গের একাংশ ভেঙে পড়ে। তখন তার মধ্যে প্রায় ১০-১২ জন ছিলেন। রাতেই উদ্ধারকাজ শুরু হলেও ঘনঘন পাথর ছিটকে আসায় কাজ চালাতে অসুবিধা হচ্ছে। পাহাড় কাটার মেশিন এনে সুড়ঙ্গের মুখ বড় করে শ্রমিকদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।