শান্তিনিকেতন: অমর্ত্য সেন(Amartya Sen) নোবেল লরিয়েট নন। তিনি নোবেল প্রাইজ পাননি। উনি দাবি করেন নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন বলে। বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর এই মন্তব্য যথেষ্ট আলোড়ন ফেলে সমাজের বিভিন্ন মহলে। দীর্ঘদিন ধরেই নোবেলজয়ী (nobel laureate) অর্থনীতিবিদ (economist) অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) বাড়ির জমি নিয়ে বিশ্বভারতী (Visva-Bharati) কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটা দড়ি টানাটানি চলছে। সম্প্রতি এই জমি ফেরত চেয়ে তাঁকে একটি নোটিস পাঠায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এরপরই সাংবাদিকদের সামনে এই জমি বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের রোষের মুখে পড়েন তিনি। অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে উপাচার্যের এই বিষোদগারের পালটা, শুক্রবার উপাচার্যকে বিজেপি ক্যাডার (BJP cadre) বলে কটাক্ষ করেন বীরভূমের সাংসদ (Birbhum’s Lok Sabha MP) ও অভিনেত্রী (actress) শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy)।
এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শতাব্দী রায় বলেন, অমর্ত্য সেন বাংলা তথা গোটা দেশের গর্ব। এটা অত্যন্ত হাস্যকর ব্যাপার। আসলে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী একজন বিজেপি কর্মী হিসেবে কাজ করছেন। বীরভুমের তৃণমূল সাংসাদ আরও বলেন, উপাচার্য আগে প্রমাণ করুন, অমর্ত্য সেনের বাড়িতে বিশ্বভারতীর জমি ঢুকে আছে। তারপর উনি কথা বলবেন। আসলে অমর্ত্য সেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রশংসা করেছেন। তাই এ ধরনের মন্তব্য উপাচার্যর।
আরও পড়ুন: Amartya Sen: বিজেপি নেতাদের মদতে এমন করছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য, বিস্ফোরক অমর্ত্য সেন
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার অর্মত্য সেনকে নোটিস দিয়ে শান্তিনিকেতনের ৭.৬ কাঠা জমি ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বভারতীর দাবি, ওই জমি তাঁর পরিবারের সম্পত্তি নয়। স্পষ্টতই বিরক্ত নোবেলজয়ী বুধবার বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিন্তাধারায় কোনও সূক্ষ্ণতা দেখতে পারছি না। এমনকী এর পিছনে কোন রাজনীতি রয়েছে সেটাও বুঝতে পারছি না। এই বাড়িটা চারের দশকে বিশ্বভারতীর লিজ দেওয়া জমিতে নির্মিত হয়েছিল।
এই বিষয় বিশ্বভারতীর উপাচার্যের ব্যবহারে তিনি অত্যন্ত অসন্তুষ্ট বলেও জানান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, এ ধরনের ব্যবহার আশানুরূপ নয়। এরপরই বৃহস্পতিবার বিস্ফোরক অভিযোগ করে অমর্ত্য বলেন, কেন্দ্রের কিছু বিজেপি (BJP) নেতার মদতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakraborty) এই ধরনের ব্যবহার করছেন।
আরও পড়ুন: Didir Doot Agitation: ফের বিক্ষোভের মুখে দিদির দূত, সমস্যার কথা উগরে দিলেন গ্রামবাসী
অমর্ত্য আরও বলেন, এই জমি তাঁর পরিবারকে ১০০ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছিল। তার কিছু কিছু অংশ তাঁর বাবা আইন-কানুন মেনে কিনেও নিয়েছিলেন। ৮৯ বছর বয়সি নোবেলজয়ী বলেন, এই বিষয়ে আমার সময় নষ্ট করার কোনও কারণ দেখছি না। বুঝতে পারছি না কেন হঠাৎ করেই আমাকে তাড়ানোর চেষ্টায় এত সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।