কলকাতা: নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen) এবার জমি বিতর্কেও কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার খড়্গপুরে তিনি বলেন, বয়স হলে সম্পত্তির প্রতি মোহ কমে যায়! এই বয়সেও সম্পত্তির প্রতি এত লোভ কেন ওঁর? দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) আরও বলেন, অমর্ত্য সেনের মতো একজন বিখ্যাত লোক, উনি বাঙালির কাছে একটা দৃষ্টান্ত। তাঁকে নিয়ে যদি প্রশ্ন ওঠে, তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি দখল করে রেখেছেন; সেটা সম্মানজনক নয়। তাঁর বিষয়টি পরিষ্কার করে জানানো উচিত। বারবার তাঁর কাছে চিঠি পাঠাতে হচ্ছে। আর, উনি যদি জোর করে বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রাখেন, সেটা অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়া উচিত।
নোবেল-ইস্যুতেও বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে (Bidyut Chakraborty) সমর্থন করে দিলীপ ঘোষ বলেন, এখন অনেকেই বলছেন, ওটা নোবেল (Nobel) নয়। এক সময় আমিই প্রথম ওই কথা বলেছিলাম। বাকিরা কেউ সাহস দেখাতে পারেননি। উনি যে সময় নোবেল পেয়েছেন বলে দাবি করা হয়, সেই সময় অর্থনীতিতে নোবেল ছিল না। নোবেলের সমতুল্য একটা পুরস্কার দেওয়া হত। যাই হোক, এইসব ইস্যুতে প্রশ্ন ওঠা একেবারেই সম্মানজনক (Respectable) নয়।
আরও পড়ুন: Amartya Sen: অমর্ত্য সেনকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যে শতাব্দীর পাল্টা কটাক্ষ উপাচার্যকে
এই প্রথম নয়, দিলীপ ঘোষ আগেও অমর্ত্য সেনকে কটাক্ষ করেছেন। অতীতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্টরাও তাঁর নিশানা থেকে বাদ যাননি। সম্প্রতি বিশ্বভারতীর উপাচার্যের সঙ্গে অমর্ত্য সেনের বাকযুদ্ধ চরমে ওঠে। সেই প্রেক্ষিতে উপাচার্যের পাশে দাঁড়িয়ে অমর্ত্য সেনকে আবার আক্রমণ করতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
উল্লেখ্য, শান্তিনিকেতনে (Santiniketan) জমি নিয়ে বিশ্বভারতী (Vishwabharati) কর্তৃপক্ষের (Authority) সঙ্গে নোবেলজয়ীর মতান্তর হয়েছে। বিশ্বভারতীর উপাচার্য অভিযোগ তুলেছেন, অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রেখেছেন। অমর্ত্য সেন পাল্টা বলেন, তিনি যদি গিয়ে বিশ্বভারতীতে ঢুকে বলেন এটা আমার সম্পত্তি (Property)। তা কি আমার হয়ে যাবে?
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরোধ চলছে অনেক দিন ধরেই। পৌষ মেলার আয়োজন নিয়ে তা চরমে ওঠে। শেষ পর্যন্ত এবার পৌষ মেলা হয়নি। যদিও রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় একটি মেলা হয়েছে বোলপুরে। অমর্ত্য সেন কিছু দিন আগেই একটি সাক্ষাতকারে জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে।