কাতার: ২০১৪ সালের ১৩ জুলাইয়ের রাত আর ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বরের রাতের মধ্যে পার্থক্য আকাশ-পাতাল। সে রাতে আর্জেন্টিনাকে (Argentina) হারিয়ে বিশ্বকাপ (World Cup) চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল জার্মানি (Germany)। সারারাত আনন্দ উৎসব করেছিলেন থমাস মুলাররা (Thomas Muller)। আট বছর পর গ্রুপ পর্ব থেকেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তাদের। রাশিয়া বিশ্বকাপেও (Russia World Cup) তাদের একই দশা হয়েছিল, যা হতাশা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। এর মধ্যেই আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন মুলার।
মেসি (Messi) এবং রোনাল্ডো (Ronaldo) যেখানে পাঁচটা বিশ্বকাপ খেলে আটটি করে গোল করেছেন, মুলারের সেখানে চারটে বিশ্বকাপে ১০ গোল। ২০১৪ সালে করেছিলেন পাঁচটি। ২০১০ সালে জার্মানি তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিল। সেবার সোনার বুট (Golden Boot) জিতেছিলেন মুলার। অর্থাৎ বিশ্বকাপের মঞ্চে তিনি অত্যন্ত সফল।
আরও পড়ুন: Japan Controversial Goal: জাপানের জয়সূচক গোল কি আদৌ বৈধ? এই ভিডিয়োই তার প্রমাণ
বৃহস্পতিবার কোস্টারিকার বিরুদ্ধে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছিলেন বায়ার্ন মিউনিখ (Bayern Munich) তারকা। কিন্তু গোল পাননি। ম্যাচ শেষে হতাশ হয়ে তিনি যা বললেন তাতে অবসরের (Retirement) বিতর্কই মাথাচাড়া দিল।
মুলার বলেন, যদি এটা আমার শেষ ম্যাচ হয়ে থাকে তাহলে বলব, দিনগুলো খুবই আনন্দের কাটিয়েছি। অবিশ্বাস্য সব মুহূর্ত একসঙ্গে কাটিয়েছি আমরা। প্রতিটা ম্যাচে আমি আমার হৃদয় নিংড়ে দিয়েছি, ভালবাসার সঙ্গে খেলেছি। থমাস মুলারের দায়বদ্ধতা নিয়ে তাঁর অতি বড় শত্রুও সন্দেহ করবে না। স্ট্রাইকার, উইঙ্গার, মিডিফিল্ডার যে কোনও পোজিশনেই তিনি স্বচ্ছন্দ। কোচ যা দায়িত্ব দিয়েছেন পাক্কা পেশাদারের মতো তাই মাথা পেতে নিয়েছেন এবং সফল হয়েছেন।
জার্মানির হয়ে ১২০টি ম্যাচ খেলেছেন মুলার, করেছেন ৪৪টি গোল। তাঁর বয়স এখন ৩৩। পরবর্তী বিশ্বকাপের সময় ৩৭ হয়ে যাবেন, খেলতে পারবেন না তা ধরেই নেওয়া যায়। তবে দেশের জার্সি খুলে ফেললেও ক্লাব ফুটবল তিনি আরও কয়েক বছর চালিয়ে যাবেন বলেই আশা করা যায়।