রবিবার ১২ নভেম্বর কালী পুজো এবং ১৩ নভেম্বর সারা দেশে পালিত হবে দিওয়ালি। কালী পুজো ও দিওয়ালি মানেই প্রদীপ, মোমবাতি ও আতসবাজির উৎসব। সেক্ষেত্রে পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে আলোর উৎসবে নিষিদ্ধ শব্দবাজি। সেই সঙ্গে বাজি নিয়ে আরোপিত একাধিক নিয়ম। যদিও শব্দ বাজির ক্ষেত্রে আগের তুলনায় ডেসিবেলের মাত্রা বাড়ানো হয়েছে , কিন্তু তাও পরিবেশ রক্ষায় বাজি নিয়ে তৈরি হয়েছে কিছু মানদণ্ড। যা না মানলেই বিপদ।
বাজি ফাটানোর সময়সীমা: কালীপুজো ও দিওয়ালিতে কলকাতা সহ রাজ্য জুড়ে বাজি ফাটানো যাবে শুধুমাত্র রাত আটটা থেকে দশটার মধ্যে। তা সে সবুজ বাজি হোক বা অন্য যেকোনো বাজি। এর বাইরে অন্য সময় বাজি ফাটানো হলে যেতে হতে পারে জেলেও। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না মেনে সবুজ বাজির নামে অন্য নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি নিয়েও কড়া নজর পুলিশের। এছাড়াও কোনও বিক্রেতা যদি নিয়ম ভেবেগে অন্য কোথাও বাজি বিক্রি করে সেক্ষেত্রে করা পদক্ষপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে।
আরও পড়ুন: কালীপুজোর দিন বাজি থেকে দূরে থাকবেন এই সমস্ত রাশির জাতকেরা
ট্রেনে বাজি নিয়ে যাতায়াত!: বাজি নিয়ে পরিবহনের ক্ষেত্রেও রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম। রেলওয়ে অ্যাক্ট ১৯৮৯-এর ১৬৪ ধারা অনুযায়ী শুধু বাজি কেন ট্রেনে কোনও ধরনের দাহ্য পদার্থ নিয়ে ওঠাই নিষিদ্ধ। হাতেনাতে ধরা পড়লে ১ হাজার টাকা অবধি জরিমানা থেকে তিন বছরের জেল পর্যন্ত হতে পারে। গণপরিবহনে বাজি নিয়ে পরিবহনের ক্ষেত্রে সাবধনতা প্রয়োজন।
দেদার শব্দবাজি বিক্রি: প্রচার সচেতনতা আইন নজরদারি সত্ত্বেও লুকিয়ে চুরিয়ে চলছে শব্দবাজি বিক্রিও। নিয়ম অনুযায়ী, বিক্রি করা যাবে শুধু সবুজ বাজি। কিন্তু সেই নিয়ম আর মানা হচ্ছে কোথায়?
কালীপুজোর সপ্তাহখানেক আগে থেকেই শহরতলির বিভিন্ন জায়গায় শব্দবাজি ফাটছে। বিশ্বকাপে ভারত ভাল খেললেও ফাটছে শব্দবাজি। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
দেখুন আরও খবর: