বীরভূম: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (Inner Clash) যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না শাসকদলের। ফের শিরোনামে উঠে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল (TMC Inner Clash)। এবার অনুব্রতর (Anubrata Mandal) গড় বীরভূম (Birbhum)। বীরভূমের নানুরের কীর্ণাহারে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে (Party Office) তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সেখনাকার তৃণমূল বিধায়ক (Nanoor TMC MLA) বিধানচন্দ্র মাঝির (Bidhanchandra Majhi) বিরুদ্ধে। যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গত শনিবার (২৫ মার্চ) বীরভূমের (Birbhum) নানুরের (Nanoor) তৃণমূল নেতা ও সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি রিঙ্কু চৌধুরীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল নানুর ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও একটি ঘটনা তৃণমূলের অভ্যন্তরে। সূত্রের খবর, কীর্ণাহার ১নং ও ২নং অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে তালা লাগানোকে কেন্দ্র করে ফের বিতর্কের সূত্রপাত।
আরও পড়ুন:Satabdi Roy | অনুব্রতর গড়ে এসে শতাব্দীর মন্তব্য, ‘মিস করছি না’
এই বিষয়ে কীর্ণাহার ২নং অঞ্চল সভাপতি বলেছেন, কালীঘাটে বীরভূম জেলা তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মিটিংয়ে সমস্ত বিধায়ক, জেলার কোর কমিটি, অঞ্চল সভাপতি এবং ব্লক সভাপতি সকলেই উপস্থিত ছিলেন বলে সূত্রের খবর। তিনি আরও জানান, “বৈঠকে উপস্থিত সকলেই জানতেন আমাদের ৭টি অঞ্চল সভাপতিকে দিদি নিজেই অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তিনি এই ঘোষণাও করেছেন, সংশ্লিষ্ট সভাপতিরাই ওইসব অঞ্চল দেখবেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই অঞ্চল সভাপতিদের নির্দেশ দিয়েছেন অঞ্চলটি দেখতে।”
অঞ্চল সভাপতির অভিযোগ, বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মানছেন না, অথচ নিজে বিধায়কের ক্ষমতা দেখাচ্ছেন। দলীয় কার্যালয়ের চাবি খোলা প্রসঙ্গে বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি বলেছেন, “তুই কি অঞ্চল সভাপতি? আমি অঞ্চল সভাপতি মানি না।” এ প্রসঙ্গে অঞ্চল সভাপতির বক্তব্য, “যে বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীকে মানে না সেই বিধায়কের অবিলম্বে পদত্যাগ করা দরকার।”
যদিও এবিষয়ে বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝি বলছেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। “আমি সকাল থেকেই বোলপুরে আছি। মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।”