ঘাটাল: দরজা খুলছি না অনেকে ঢুকে পড়বে বলে, কেউ চ্যালেঞ্জ করলে খুলে দেব, বায়রনকে যোগদান করিয়ে এমনই মন্তব্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। সোমাবার বায়রনকে পাশে নিয়ে সাংবাদিকদের বৈঠকে অভিষেক বলেন, সৌজন্যতার কারণে সকলকে নিতে পারছি না। দরজা একটু ফাঁক করে দিলে, রাজ্য ও রাজ্যের বাইরের অনেক বিধায়ক-সাংসদ রয়েছেন যাঁরা তৃণমূলে যোগ দেবেন। তবে কেউ যদি চ্যালেঞ্জ করে, তা করতে বাধ্য থাকব।
এদিন ঘাটাল বিদ্যাসাগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রা শুরুর হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই দলের সোশ্যাল সাইটে বায়রনকে দলে নেওয়ার ছবি প্রকাশ করে সকলকে চমকে দেন। শুরু হয়ে যায় সংবাদমাধ্যমের হুড়োহুড়ি। সকলের অনুরোধে সাংবাদিক সম্মেলনে করেন অভিষেক। সঙ্গে ছিলেন বায়রনও। অভিষেক আরও বলেন, বায়রন নির্বাচনে দাঁড়ানোর আগে থেকেই আমার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন। তৃণমূলের পরিবারেরই ছেলে তিনি। কিন্তু যে কোনও কারণেই হোক আমার সঙ্গে সংযোগ হয়ে ওঠেনি তখন। সম্প্রতি তিনি যোগাযোগ করেন আবার। শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়েছিল। সুস্থ হয়ে আমাকে ফোন করেছিলেন গতকাল। আমি অবস্থান জানাতে সুদূর মুর্শিদাবাদ থেকে ঘাটালে এসে যোগদান করলেন তৃণমূলে। এমন অনেক এমএলএ এমপি রয়েছেন রাজ্য ও রাজ্যের বাইরে, যারা দলে যোগ দিতে চেয়েছেন। কিন্তু দরজা একটু ফাঁক করলেই অনেকেই আবার ছোটখাটো ঢুকে পড়বে। সৌজন্যতার কারণে সেই কাজ আমরা করছি না। কেউ যদি চ্যালেঞ্জ করে সেটা করতে বাধ্য থাকব।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi-Madhya Pradesh | মধ্যপ্রদেশে ১৫০ আসনে জিতবে কংগ্রেস, দাবি রাহুলের
জোর জল্পনা তৈরি করে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির সদ্য নির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস যোগ দিলেন তৃণমূলে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হাত ধরে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিসলেন বায়রন। এদিন অভিষেকের সঙ্গে ফোনে কথা বলে মুর্শিদাবাদ থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে আসেন বায়রন। সেখানেই অভিষেকের কর্মসূচির মাঝে তণমৃলে যোগ দেন তিনি।
তৃণমূলে যোগদানের মূল কারণ হিসেবে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকেই বিঁধেছেন বায়রন। এদিন বায়রন বলেন, আমার জয়লাভের পিছনে কংগ্রেসের অবদান তেমন নেই। আমি কারও সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতাও করছি না। তবে কংগ্রেসে কাজ করা যাচ্ছিল না। তাই মানুষের কাজ করা ও বিজেপি বিরোধী একমাত্র প্ল্যাটফর্ম হিসেবে তৃণমূলকেই পছন্দ করেছিলাম। কারণ অধীর বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন না, তাদের বিরুদ্ধেও বলছেন না।
অধীর প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, উনি বিজেপির বিরোধিতা করছেন না বাংলায়। উল্টে তৃণমূলকে দুর্বল করে বিজেপির হাত শক্ত করতে চাইছেন। অন্য কোথাও কিছু যাই করুক, এ রাজ্যে তো কখনওই বিজেপি বিরোধিতা উনি করছেন না। সেটা অনেক মানুষ বুঝতে পেরেছেন। তাই ওনার পাশ থেকে সকলে সরে যাচ্ছেন।