নয়াদিল্লি: এসএসসির নিয়োগ (SSC Recruitment Corruption) কেলেঙ্কারির দায় রাজ্য সরকার চাপাল এসএসসির ঘাড়ে। মঙ্গলবার এসএসসি নিয়োগ মামলায় প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল-সহ অন্যান্য রায় নিয়ে শুনানি চলে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (Chief Justice DY Chandrachud) বেঞ্চে। এদিন শীর্ষ আদালতে রাজ্য জানায়, যোগ্য –অযোগ্যদের আলাদা করার জন্য পর্যাপ্ত নথি তাদের কাছে রয়েছে কি না তা বলতে পারবে এসএসসি। পুরো প্যানেল বাতিলের প্রয়োজন ছিল কি না তাও জানাতে পারবে তারা। নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে রাজ্য যুক্ত নয়। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণটাই দেখে এসএসসি। রাজ্য সরকার মোট শূন্য পদ নির্ধারণ করে এবং নিয়োগের পরে বেতন দেয়।
রাজ্যের কাছে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, সুপারনিউমেরিক পদ কেন তৈরি হয়েছিল? ব্যাখ্যায় রাজ্য জানায়, সুপারনিউমেরিক পদ বেআইনি নিয়োগ ঢাকতে তৈরি করা হয়নি। রাজ্য শুধু চেয়েছিল চাকরি বাতিলের পরে শূন্য পদে ওয়েটিং লিস্ট থেকে নিয়োগ করতে। বেআইনি নিয়োগ আড়াল করার চেষ্টা করা হয়নি। মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে সওয়াল নিয়ে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে বেনিয়মের কোনও প্রমাণ নেই। তারা বৈঠক করেছিল শুধু সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। কোনও কিছু কার্যকর করা হয়নি।
আরও পড়ুন:কেজরিওয়ালের তদন্তে কেন দেরি, ইডিকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
এদিন শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে বৈধ নিয়োগের সংখ্যা জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission)। এসএসসি জানায়, যোগ্য চাকরিপ্রাপকের সংখ্যা ১৯ হাজার। অবৈধ ভাবে ৭ হাজার জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। কমিশন দাবি করে, চাকরি বাতিল আদালতের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। অনেক আগেই সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তা বলা হয়েছে। এসএসসিকে পাল্টা প্রশ্ন বিচারপতির, ওএমআর শিট নষ্ট করেছিলেন কেন? এ নিয়ে কোনও আইন আছে? জবাবে এসএসসির আইনজীবী বলেন, আমাদের কাছে ডিজিটাল ডেটা রয়েছে। বিচারপতি বলেন, এসএসসি নাইসাকে স্ক্যানিং করার জন্য দিয়েছিল। এই বিষয়ে তো চেয়ারম্যানই কিছু জানেন না।
অন্য খবর দেখুন