২৯শে এপ্রিল, ২০২০। মস্তিষ্কের দুরারোগ্য রোগে চলে গেছেন বাবা। কিন্তু সত্যিই কি বাবিল কে ছেড়ে গেছেন ইরফান? ছোট্ট থেকে যে ইরফান ছিল বাবিল এর সবসময়ের সঙ্গী, প্রিয় বন্ধু, তার মৃত্যু কি এতো সহজে দুজনকে আলাদা করতে পারে? বাবিল এখনও মনে করেন প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে বাবা আছে তার পাশে। বাবার সাথে নিয়মিত কাজ নিয়ে আলোচনা হয় তার।বাবা প্রতিমুহূর্তে তার দিকে নজর রাখছে। সম্প্রতি আইফার মঞ্চে মিললো শ্রেষ্ঠ ডেবিউ অভিনেতার পুরস্কার। বাবিল তো বাবার মৃত্যুর পরেই ঠিক করেছিলেন যে বাবার জুতোতেই পা গলাবেন। মা কে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন আইফার অনুষ্ঠানে। পুরস্কার নিয়ে যে ইরফান এর ভাবনার প্রতিধ্বনি। একেই বলে বাপ কে বেটা। পরিস্কার জানিয়ে দিলেন এই পুরস্কার টাও বাবার ৫০ টা ট্রফির সাথেই থাকবে। কারণ এটাও বাবার প্রাপ্য। শৈশব থেকে হাতে ধরে তৈরী করে দিয়েছেন বাবা। আজ সেই স্বীকৃতিটাই পেলাম। আর বাবা এটাও শিখিয়ে দিয়েছেন যে পুরস্কার পাবার পর ট্রফিটা জাস্ট রেখে দিতে হয়। পরের দিন সকালে উঠে আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হয়। মন দিয়ে নিজের কাজ শুরু করতে হয় যেন সেটাই প্রথম দিন। পুরস্কার বা স্বীকৃতি যেন নিজের কাজকে প্রভাবিত না করতে পারে। এখনও প্রতিদিন নিজের কাজ, কাজের ভুল ত্রুটি নিয়ে বাবার সাথে আলোচনা করি, একা, নিজে নিজে। বাবিল যখন এই কথাগুলো অবলীলায় বলছেন তখন পাশে দাড়িয়ে মা সুতপা অবাক দৃষ্টিতে ছেলেকে দেখছেন। পুত্র হটাৎ করেই বড়ো হয়ে গেলো নাকি ছেলের মধ্যেই খুঁজে বেড়াচ্ছেন হারিয়ে যাওয়া ইরফান কে?