বলিপাড়ার কৌতহূল এখন মিশে যাচ্ছে রাজনীতির ময়দানে। রাজনীতিবিদ রাঘব চাড্ডার সঙ্গে বলি অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার বাগদান এখন আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে যদিও এই গুঞ্জন অনেক আগেই ছড়িয়েছিল যখন বারবার করেই তাঁদের একসঙ্গে দেখা যেতে থাকল। যদিও অভিনেতা এবং রাজনীতিবিদরা বন্ধুত্বপূর্ণ ছিলেন তবে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে কেউ একজন রাজনীতিকের সাথে গাঁটছড়া বাঁধছেন এমনটা সত্যিই শোনা যায়নি। তবে এখন সেসব হচ্ছে।
শুরু থেকেই বলিউডের শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রীরা তাদের সহ-অভিনেতা বা চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বিয়ে করতে পছন্দ করেন এমনকি ক্রীড়াক্ষেত্রেও তাঁদের আকর্ষণ ছিল কিন্তু রাজনীতিবিদদের সঙ্গে জড়িয়ে যেতে তাঁদের দেখা যেত না।তবে এখন তা পরিবর্তন হয়েছে।অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর সমাজবাদী যুব জনসভার নেতা ফাহাদ আহমেদ এবং এখন পরিণীতি এবং রাঘবের সাথে বিবাহই বলে দিচ্ছে সময় বদলেছে।
দক্ষিণ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে, অনেক অভিনেতাই রাজনীতিবিদ হয়েছেন। এমজিআর, কালাইগনার করুণানিধি, ডাঃ রাজকুমার, এনটি রামা রাও এবং জয়ললিতা থেকে শুরু করে পবন কল্যাণ, কমল হাসান, খুশবু এবং আরও অনেকেই রাজনীতিতে এক পরে এবং চলচ্চিত্র জগতে এক পা রেখে চলেন। তবে বলিউডে এমন সংখ্যা হাতে গোনা।
হিন্দি চলচ্চিত্র জগৎ সর্বদা রাজনীতি বা সমাজের জ্বলন্ত সমস্যা সম্পর্কে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে। খুব কম অভিনেতা-অভিনেত্রীরাই সমাজের জ্বলন্ত কারণ নিয়ে নিজেদের মতামত প্রকাশ করে থাকেন তবে ব্যতিক্রম হল স্বরা ভাস্কর বা কঙ্গনা রানাউত।
এই সময় ভারতবর্ষের রাজনীতিতে প্রচুর তরুণ-তরুণীকে আসতে দেখা যায়। যাদের মধ্যে অনেকেই উচ্চ শিক্ষিত। যেমন রাঘব চাড্ডা লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সের স্নাতক আবার ফাহাদ আহমেদ টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্স নিয়ে পড়াশোন করেছেন। এখন একজন রাজনীতিবিদকে বিয়ে করা একজন আইটি পেশাদার বা একজন ব্যবসায়ীকে বিয়ে করার মতোই আকর্ষণীয়। তাই হয়তো রাজনৈতিক মতাদর্শ এক না হলেও রাজনীতির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে বলিপাড়া। প্রেমে তো সবই সম্ভব।