বেঙ্গালুরু: বড় রকমের প্রযুক্তি উদ্ধাবনের (Technology and Innovation) উদ্দেশ্যে এবার ভারতে পুরোদমে তাদের নজর দিতে চলেছে সফটওয়্যার প্রস্তুতকারী জার্মান সংস্থা এসএপি (সিস্টেমস, অ্যাপ্লিকেশনস, অ্যান্ড প্রোডাক্টস)। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), মেশিন লার্নিং (এমএল), ব্লকচেইন, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং রোবোটিক প্রসেস অটোমেশনের মতো উদীয়মান প্রযুক্তি নিয়ে ভারতে অবস্থিত এসএপি ল্যাবস-এর প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা কাজও শুরু করে দিয়েছেন ইতিমধ্যে।
এসএপি ল্যাবসের এমডি সিন্ধু গঙ্গাধরণ এক সাক্ষাকারে জানিয়েছেন, “আমরা এটাও দেখছি যে ভাবনাকে কিভাবে পুনর্কল্পনা করা যায় এবং এই সমস্ত প্রযুক্তি এতে কিভাবে সহায়ক হতে পারে।”
এই প্রযুক্তি সংস্থার এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছে, এই উদ্যোগের অঙ্গ হিসেবে কোম্পানি ভারতে ২০২৫ সালের মধ্যে তাদের কর্মচারীর সংখ্যা দ্বিগুণ করে তোলার লক্ষ্য নিয়েছে। বর্তমানে ভারতে এসএপি’র মোট কর্মীর সংখ্যা ১৪,০০০, যার মধ্যে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (R&D) ইউনিটেই বারো হাজার কর্মী কাজ করেন।
আরও পড়ুন: CBI Operation Meghchakra: দেশ জুড়ে সিবিআই অভিযান চাইল্ড পর্নোগ্রাফির বিরুদ্ধে
ভারতের বেঙ্গালুরুর এসএপি ল্যাবসই এই সংস্থার সবচেয়ে বড়ো ল্যাব। এদেশে সংস্থার ফ্ল্যাগশিপ প্রোডাক্ট SAP HANA, নেক্সট জেনারেশ প্রোডাক্ট SAP S/4HANA, ডিজিটাল ব্যবসার জন্য রিয়েল টাইম ERP সুইট সহ কোম্পানির যাবতীয় প্রোডাক্টের প্রধান মুখ এই ল্যাব। এই কারণেই ল্যাবের সংখ্যা আরও বাড়িয়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই জার্মান সফটওয়্যার প্রস্তুতকারক সংস্থা।
ব্যবসা বিস্তারের পরিকল্পনা অনুসারে বেঙ্গালুরুতে আরও একটি ল্যাব খুলতে চলেছে এসএপি। দেবনাহাল্লিতে ল্যাবটি তৈরি হলে ১৩০০০ কর্মী কাজ করতে পারবেন সেখানে। পুনে, গুরুগ্রাম, হায়দরাবাদ এবং মুম্বইতেও এসএপি’র ছোটোখাটো অফিস রয়েছে। তবে, এসএপি ল্যাবস থেকেই জার্মানি, চিন, কানাডা, ব্রাজিল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিভিন্ন দেশে অবস্থিত অন্যান্য এসএপি ল্যাবসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়। ১৮টি দেশে মোট ২০টি উদ্বাধনী ল্যাবস রয়েছে তাদের।
কেন্দ্র সরকারের ডিজিটাল ইন্ডিয়ার (Digital India) অন্তর্গত বিভিন্ন প্রোজেক্টের জন্য সম্প্রতি ভারত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক ও বিভাগের সঙ্গেও কাজ করেছে এসএপি। ভারত সরকার যেমন প্রযুক্তির উপর জোর দিচ্ছে, তেমনই বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও ডিজিটাল আপস্কিলিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপগ্রেড হচ্ছে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে। বলাবাহুল্য, এসএপি’র এই উদ্যোগের ফলে সফটওয়্যার সহ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে চাকরির পরিসরও বৃদ্ধি পাবে, যা থেকে উপকৃত হবেন ভারতীয় তরুণরা।