কলকাতা: জেএমবি জঙ্গিদের নতুন ডেরার খোঁজ পেল এসটিএফ। বাংলাদেশি নাগরিক ধৃত ৩ জঙ্গিকে জি়জ্ঞাসাবাদ করে বারাসতের একটি ঠিকানার খোঁজ পায় কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। বুধবার দুপুরেই বারাসতের ওই ডেরায় হানা দেয় তাঁরা। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাসি। গোপন ডেরায় তল্লাসি চালিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত রবিবার দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুর থেকে তিন জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। তারপর গত সোমবার ধৃত নাজিউর রহমান, সাব্বির ও রবিউল ইসলামকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পেশ করা হলে অভিযুক্তদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
বেশকিছুদিন আগে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় এসে বেনামে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল। কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ফেরিওয়ালা সেজে সাইকেলে চেপে খেলনা-মশারি বিক্রি করত তাঁরা। রবিবার খবর পেয়ে হরিদেবপুরে তাঁদের ডেরায় হানা দেয় কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ধৃতদের ডেরা থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট এছাড়াও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করেছিল পুলিশ। যারমধ্যে রয়েছে ধর্মীয় বই,একটি ভারতীয় পরিচয় পত্র। এছাড়াও একটি ডায়রি হাতে এসেছে পুলিশের। সেই ডায়রিতে আরও একাধিক জেএমবি সদস্যদের নাম পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। ধৃতদের মোবাইল ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথোনও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: আচমকা রাজভবনে মমতা, ধনখড়ের সঙ্গে ২ ঘণ্টা বৈঠক
এসটিএফ সূত্রে খবর, নিজেদের সংগঠনের জন্য ফান্ড কালেকশন করার অভিনব পন্থাও অবলম্বন করেছিল জঙ্গিরা। ইন্টারনেটে অনলাইন ব্যবসার জাল বুনেছিল। এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করত জামাতুল মুজাহিদিন জঙ্গি গোষ্ঠীর অন্যতম শীর্ষ কর্তা আল আমিন। বাংলাদেশের কাসিমপুর জেলে বসেই এই ব্যবসা চালাত সে।
আরও পড়ুন: ৯৬ জোড়া ট্রেন, শুক্রবার থেকে ১২ ঘণ্টা মেট্রো
২০১৬ সালে ঢাকার গুলশন এলাকায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলা চালিয়েছিল জেএমবি। সেই ঘটনায় ১৭ জন বিদেশি সহ মোট ২২ জ নের মৃত্যু হয়। তারপর বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় জঙ্গি কার্যকলাপ কিছুটা স্থিমিত হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছর এবার সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে তৎপর জে এমবি। এমনটাই দাবি এনআইএর।