কলকাতা: নতুন প্রার্থী নিয়োগ (Recuritment) করতে চেয়ে হাইকোর্টের (Highcourt) দ্বারস্থ এসএসসি (SSC)। কমিশনের দাবি, উচ্ছ প্রাথমিকে (Upper Primary) ২০১৬ র নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়ছে। কিন্তু যেহেতু এই সংক্রান্ত মূল মামলা আদালতে বিচারধীন। তাই কোর্টের নির্দেশ ছাড়া নিয়োগ সম্ভব নয়। জানা গিয়েছে, ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ তৈরি হয়েছে। আগামী সোমবার অথবা মঙ্গলবার এর শুনানি হবে বলে জানিয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, গতকাল ১৪ হাজার ৩৩৯ টি শূন্য পদের জন্য ১৪ হাজার ৫২ জনের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছিল কমিশন। একইসঙ্গে শুক্রবারের (Friday) মধ্যে আদালতে হলফনামা দিয়ে পরের নিয়োগ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর আবেদন জানাবে বলেও জানিয়েছিলেন কমিশনের চেয়ারম্যান (Chair Man) সিদ্ধার্থ মজুমদার (Sidhartha Majumdar)।
রাজ্যে (West Bengal) প্রাথমিক, নবম থেকে দ্বাদশ সব ক্ষেত্রেই নিয়োগ প্রক্রিয়া অনেক আগেই শুরু হয়েছে। শুধু অবহেলিত ছিলেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীরা। ২০১৪ সালে উচ্চ প্রাথমিকে টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি (Notice) প্রকাশি হয়। ২০১৫ সালে পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২০১৬ সালে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। নিয়োগের জন্য যাবতীয় প্রক্রিয়া শুরু করে কমিশন। প্রায় সাড়ে ১২ হাজার প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হয়। কিন্তু ২০২০ সালে আদালত উচ্চ প্রাথমিকের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল ঘোষণা করে। যার ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে যায়। এই অবস্থায় কলেজ সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান পদে বসায় রাজ্য সরকার। তিনি উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে শুরু করেন।
আজকের কমিশনের আবেদনের পর শুধুমাত্র আদালতের অনুমতির অপেক্ষা। সেই অনুমতি মিললেই শুরু হবে নিয়োগের কাউন্সেলিং। পাশাপাশি নিয়োগের ক্ষেত্রে এসএসসি যে নিয়মের পরিবর্তন আনছে সে বিষয়টিও এদিন স্পষ্ট করেন চেয়ারম্যান। তিনি জানান, ওএমআর শিটে পরীক্ষা নেওয়ার পাশাপাশি তার নকল পরীক্ষার্থীদের দিয়ে দেওয়া এবং আইনি জটিলতা বা হয়রানি এড়াতে ১০ বছরের জন্য ওএমআর শিট সংরক্ষণ, পরীক্ষার ভিডিওগ্রাফি, ইন্টারভিউ কাউন্সেলিংয়ের সময় ভিডিওগ্রাফি করা, একাডেমিক স্কোর তুলে দেওয়ার সুপারিশ করা হবে শিক্ষা দফতরের কাছে।